সংক্ষিপ্ত
মন্ত্রী আরও জানান যে, "গগনযান প্রোগ্রাম 'G1' মিশনের প্রথম আনক্রুবিহীন ফ্লাইটের উদ্দেশ্য হল হিউম্যান রেটেড লঞ্চ ভেহিক্যাল, অরবিটাল মডিউল প্রপালশন সিস্টেম, মিশন ম্যানেজমেন্ট, যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যকারিতার যাচাই করা।"
ফের পিছিয়ে গেল ভারতের গগনযান মিশন। কারণ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ মিশনের জন্য সিস্টেমগুলি ডেভেলপমেন্ট এবং পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে গগনযান মিশন এখন ২০২৪ সালের শেষের দিকে চালু হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং বুধবার বলেছেন যে ভারতের প্রথম মানব মহাকাশ ফ্লাইট 'H1' মিশনটি ২০২৪ সালের শেষের দিকে চালু করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। লোকসভায় মন্ত্রী একটি লিখিত উত্তরে একথা জানান। তিনি বলেন এই বিষয়ে সর্বাধিক যে বিষয়টি নজর রাখা হচ্ছে তা হল নিরাপত্তা।
তিনি আরও বলেন "বিভিন্ন ফ্লাইট অবস্থার জন্য ক্রু এস্কেপ সিস্টেম এবং প্যারাসুট-ভিত্তিক ডিলেরেশন সিস্টেমের কার্যকারিতা পরীক্ষা চলছে। 'H1' মিশনের আগে দুটি পরীক্ষামূলক যানবাহনের মিশন পরিকল্পনা করা হয়েছে।" জিতেন্দ্র সিং বলেন যে ক্রুবিহীন 'G1' মিশনটি ২০২৩ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে চালু করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এবং চূড়ান্ত মানব মহাকাশ ফ্লাইট 'H1' মিশনের আগে ২০২৪ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে 'G2' মিশনটি চালু করা হবে।
মন্ত্রী আরও জানান যে, "গগনযান প্রোগ্রাম 'G1' মিশনের প্রথম আনক্রুবিহীন ফ্লাইটের উদ্দেশ্য হল হিউম্যান রেটেড লঞ্চ ভেহিক্যাল, অরবিটাল মডিউল প্রপালশন সিস্টেম, মিশন ম্যানেজমেন্ট, যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যকারিতার যাচাই করা।"
ভারতীয় বিমান বাহিনী থেকে নির্বাচিত মহাকাশচারীরা বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে মিশনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। মহাকাশচারীরা ইতিমধ্যেই প্রথম-সেমিস্টারের প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন, যেখানে তারা তাত্ত্বিক মৌলিক বিষয়, মহাকাশ ওষুধ, লঞ্চ যান, মহাকাশযান সিস্টেম এবং গ্রাউন্ড সাপোর্ট পরিকাঠামোর উপর কোর্স মডিউল করেছেন।
ইসরো এই বছরের নভেম্বরে তার ক্রু মডিউল ডিলেরেশন সিস্টেমের ইন্টিগ্রেটেড মেইন প্যারাসুট এয়ারড্রপ টেস্ট (IMAT) পরিচালনা করেছে। পরীক্ষাটি উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি জেলার বাবিনা ফিল্ড ফায়ার রেঞ্জে (বিএফএফআর) পরিচালিত হয়েছিল যেখানে ক্রু মডিউল ভরের সমতুল্য একটি ৫ টন ডামি ভরকে ২.৫ কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং ভারতীয় বিমান ব্যবহার করে নামানো হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে মিশনটি আরও দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। কারণ ইসরো সেই সিস্টেমটিকে নিখুঁত করার চেষ্টা করে চলেছে। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উপলক্ষে ২০২২ সালে গগনযান চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যাইহোক, কোভিড -১৯ মহামারী এবং ধারাবাহিক লকডাউনের কারণে এটি বেশ কয়েকটি বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল।