সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি কেরালার আদালতে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র জারি করা এক রিপোর্টে বলা হয় যে ভারতের মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র সঙ্গে আল কায়দার শীর্ষ নেতৃত্বেরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন
আল কায়দার যোগ ভারতের সঙ্গে। শুনে আঁতকে উঠবেন অনেকেই। কিন্তু সম্প্রতি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র জারি করা এক রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি কেরালার আদালতে তারা একটি রিপোর্ট জমা দেন যেখানে বলা হয় যে আল কায়দার সঙ্গে যোগ রয়েছে ভারতের মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র। এমনকি আল কায়দার শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির নেতারা। তদন্তকারী সংস্থাটির এমন অভিযোগ ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে জর্জরিত কেন্দ্র। কাশ্মীরের জঙ্গি দমনে কেন্দ্র উদ্যত হলেও সেই অর্থে কেন্দ্রের পদক্ষেপগুলি খুব একটা সফল হতে দেখা যায়নি কাশ্মীরে। এরপর যদি সন্ত্রাসবাদ দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তাহলে কি হবে সে নিয়ে বেজায় চিন্তিত দেশবাসী।
সূত্রের খবর সম্প্রতি কেরলের এক আদালতে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে এনআইএ। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন ভারতে নিষিদ্ধ এই সংগঠনের নেতারা। এমনকি প্রমাণস্বরূপ তারা বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপে পিএফআই এর নেতাদের সঙ্গে জঙ্গিদের কথোপকথনের সাক্ষ্যও তুলে ধরেন আদালতে। ভারতে তারা যে একটি গোপন শাখা তৈরী করার পরিকল্পনা করছিলেন সেই তথ্যও উঠে আসে এই মেসেজ থেকে। নির্দিষ্ট সময় বিভিন্ন জঙ্গিবাদী নাশকতামূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে তারা নিজেদের অস্তিত্ব বুঝিয়ে দেবে সরকারকে এমন কোথাও লেখা ছিল সেখানে।
কলকাতা উপকণ্ঠেই এই আলকায়দার কার্যকলাপ এতদিন চলছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সন্দেহ দৃঢ় হতেই তারা 'পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র বিভিন্ন শাখায় অভিযান শুরু করেন এবং তারপরই উঠে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।