সংক্ষিপ্ত
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিচারাধীন থাকার পর অবশেষে মুখতার আনসারিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলো গাজীপুর আদালত। হত্যা ও হত্যার চেষ্টার ৫ টি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দণ্ডিত হল সে।
যোগী আদিত্যনাথ উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রথম যে পদক্ষেপটি নিয়েছিলেন তা হলো অপরাধ দমন। এই নীতি নেওয়ার পর থেকেই উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টাররা সজাগ হয়ে যায়।কারণ একটা ভুল পদক্ষেপ নিলেই চলে যেতে পারে তাদের প্রাণ। কিন্তু এই প্রাণভয় নিয়েও যে কয়েকজন সেই সময় অপরাধমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাদের মধ্যে একজন হলো গ্যাংস্টার মুখতার আনসারি। উত্তরপ্রদেশের একাধিক গ্যাংস্টারের পরিণতি ভয়ংকর হাওয়া সত্বেও মুখতারকে দমাতে পারেনি কেউই। তার কার্যকলাপ এতদিন চলছিল বহাল -তবিয়তে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিচারাধীন থাকার পর অবশেষে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলো গাজীপুর আদালত।
গ্যাংস্টার মুখতার আনসারি এবং তার সহযোগী ভীম সিংকে বৃহস্পতিবার হত্যা ও হত্যার চেষ্টার ৫ টি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দিলো আদালত। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তারা কনস্টেবল রঘুবংশ সিং এবং গাজিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে হত্যা করেছে। গত তিন মাসে একাধিকবার সে আদালতে হাজিরা দিয়েছে নানা মামলার শুনানিতে। বর্তমান সাজটি তার তৃতীয় সাজা।
আনসারি গত কয়েক বছর ধরে ইউপির বান্দার একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন। মাঝে মাঝে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ইডি হানা দিতো সেখানে। তার বিরুদ্ধে মোট ৫৯ টি মামলা ছিল যার মধ্যে ২০ টি আদালতে বিচারাধীন। চলতি বছরের ২১ সে সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ আনসারিকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলর এস কে অবস্থিকে থানায় ঢুকে হুমকি দেওয়ার জন্য। এছাড়া জেল সুপারিনটেনডেন্ট রমাকান্ত তিওয়ারিকে হত্যা করার জন্যও তার উপর মামলা দায়ের হয়েছিল। অবশেষে সব বিচারাধীন মামলা পর্যবেক্ষণ করে বিচারপতি তার ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয়।
ইউপি পুলিশ ইতিমধ্যেই মুখতার আনসারির ২৮৯.৯৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং বুলডোজার চালিয়ে ২৮২.৯০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের অবৈধ সম্পত্তি ধ্বংস করেছে। এই ঘটনা আরও একবার প্রমান করলো যে ভারতের বিচারব্যবস্থা অন্ধ নয়। যে অপরাধী আমাদের সংবিধান তাকে ঠিক শাস্তি দেয়।