সংক্ষিপ্ত

মনে আছে গৌরি লঙ্কেশকে (Gauri Lankesh)। হ্যাঁ, সেই গৌরি লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডেই এবার নয়া মোড়। গৌরি লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মনে আছে গৌরি লঙ্কেশকে (Gauri Lankesh)। হ্যাঁ, সেই গৌরি লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডেই এবার নয়া মোড়। গৌরি লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সাংবাদিক খুনের মামলায় অন্যতম সাক্ষী হিসেবে উঠে আসা মাদেতিরা থিম্মাইয়ার দাবি, এই মামলায় তাঁকে মিথ্যে বয়ান দিতে বাধ্য করেছিল পুলিশ। বেঙ্গালুরুর ব্যবসায়ী মাদেতিরার এহেন দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, এই মামলায় আরও ৩ অভিযুক্তকে এদিন জামিন দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, গত ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশ বেঙ্গালুরুর রাজরাজেশ্বরী নগর এলাকায় নিজের বাড়ির বাইরে খুন হন। বাইকে করে এসে তিনজন আরোহী গুলি করে হত্যা করে এই সাংবাদিককে।

তবে সেই ঘটনার সাত বছর পেরিয়ে গেলেও, এখনও এই মামলার নিষ্পত্তি করতে পারেনি পুলিশ। যদিও এই মামলার অন্যতম সাক্ষী ৪৬ বছর বয়সী থিম্মাইয়া আগেই জানান যে, হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত রাজেশ বাঙ্গেরাকে তিনি আগে থেকেই চিনতেন। তিনি রাজেশ সহ বাকি চারজনকে তাঁর অফিসও ব্যবহার করতে দেন।

অফিসের বাকি দুজনের সঙ্গে নাকি রাজেশ সেই বিষয়ে কিছু আলোচনাও করেছিল বলে জানান তিনি। এমনকি, খুনিদের ঠাঁইও দেওয়া হয় ঐ অফিসেই। তবে নিজের সেই বয়ান থেকে এবার পুরো ঘুরে গেলেন এই কেসের প্রধান সাক্ষী থিম্মাইয়া।

কর্নাটক কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড অ্যাক্টের আওতায় স্পেশাল কোর্টে থিম্মাইয়া বলেন, এই মামলায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্যরা তাঁকে জোর করে মিথ্যে বয়ান দিতে বাধ্য করেন। তিনি জানান, গত ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরুর সিআইডি দপ্তরে তাঁকে প্রথমে ডাকা হয়। তারপর ২ দিন তাঁকে বেঙ্গালুরুতেই থাকতে বলা হয়।

পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তাঁর চিরুনি এবং টুথব্রাশও বাজেয়াপ্ত করে। তাঁর দাবি, কোনওরকম যোগসূত্র না পাওয়ায় শেষপর্যন্ত পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে গৌরী লঙ্কেশ মামলায় অন্যতম সাক্ষীর এহেন বয়ান প্রকাশ্যে আসার পর কার্যত শোরগোল শুরু হয়ে গেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।