সংক্ষিপ্ত

রাহুল গান্ধী ইস্যুতে আবারও কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব উস্কে দিল জার্মান বিদেশ মন্ত্রক। একটি টুইট নিয়ে দুই দলের তরজা শুরু হয়েছে।

 

রাহুল গান্ধী ইস্যুতে কংগ্রেস ও বিজেপির দ্বন্দ্বের মধ্যে নতুন করে ঘি ঢালল জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য। সম্প্রতি জার্মান লোকসভায় সেদেশের বিদেশমন্ত্রী ও ডয়চ ভেলের প্রধান আন্তর্জাতিক সম্পাদক রিচার্ড ওয়াকার জানিয়েছেন তাঁর দেশের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধীর বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে স্বাগত জানিয়ে একটি টুইট করে। তারপরই আসরে নামে বিজেপি। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ, রাহুল গান্ধী দেশের ভভ্যন্তরীন বিষয়ে বারবার বিদেশিদের সাহায্য চাইছেন। এই কথা আবারও প্রমাণ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সিনিয়ন কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিং ও কংগ্রেস মুখপাত্র জার্মানির বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে টুইট তরেছেন। তিনি বলেছেন, রাহুল গান্ধী ইস্যুতে কীভাবে ভারত গণতন্ত্রের সঙ্গে আপোষ করছে তা নোট করার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি তিনি জার্মানির ওয়াকারের একটি টুইট ট্যাগ করেছেন। পাশাপাশি জার্মান পরারাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি ভিডিও ট্যাগ করেছেব। সেখানে রাহুল গান্ধী ইস্যুতে মন্তব্য করেছে জার্মান মুখপাত্র।

সম্প্রতি একটি প্রেস ব্রিফিং-এর সময় জার্মানির বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'আমরা ভারতীয় বিরোধী রাজনীতিবিদ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রথম দৃষ্টান্তের রায়ের পাশাপাশি সাংসদপদ খারিজ করার বিষয়টি নোট করেছি। আমাদের মনে হয় এই বিষয়ে রাহুল গান্ধী নিজের হয়ে আর্জি জানাতে পারেন- তিনি জানতে চাইতে পারেন কী কারণে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে?' তিনি আরও বলেছেন তাঁরা মনে করেন আইনিবিষয়ে লড়াই করতে পারেন রাহুল গান্ধী। সেক্ষেত্রে তাঁকে আইনের চোখে সমান ধরে প্রাপ্য সুবিধেগুলি দেওয়া হবে।

কিন্তু কংগ্রেসের নেতাদের জার্মানির বিদেশ মন্ত্রকের মন্তব্য টুইটের পরেই তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর আবারও রাহুল গান্ধীকে কাঠগড়়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাহুল গান্ধী বরাবরই দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে বিদেশের হস্তক্ষেপ চেয়ে থাকেন। জার্মানির এই মন্তব্য আরও একবার তাঁদের অভিযোগে সিলমহর দিল বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, রাহুল গান্ধী দেশের কলঙ্ক। রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস ভারতের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল নয়, রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইতে তারা বিশ্বাস করে না। তারা চায় বিদেশি হস্তক্ষেপ।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু একহাত নেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। তিনি বলেন, 'দেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে বিদেশি শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মনে রাখবেন ভারতের বিচারবিভাগ বিদেশি শক্তির মাধ্যমে প্রভাবিত হয় না। ' তার পাল্টা আবার কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেছেন, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আসল বিষয় থেকে সরে গেছেন। সমস্যা হল আদানি সম্পর্কে রাহুল গান্ধীর তোলা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে না রাহুল গান্ধী। বিজেপি নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।