সংক্ষিপ্ত

  • কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক 
  • যোগাযোগ ও মোবাইল পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে
  • পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীর 
  • এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরে উপরাজ্যপাল পরিবর্তন 

অনেক ঐতিহাসিক সময় বা সিদ্ধান্তের সাক্ষী জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। বর্তমানে সত্যপাল মালিককে জম্মু ওকাশ্মীরের রাজ্যপাল থেকে সরানো হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ এখন ভারতের পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল হলেন গিরিশ চন্দ্র মুর্মু। মুর্মু কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় সংক্রান্ত বিভাগের সচিব ছিলেন। পাশাপাশি লাদাখের উপরাজ্যপাল হলেন রাধাকৃষ্ণ মাথুর। তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রাক্তন সচিব ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে এই ঘোষণা করা হয় বলে জানা গিয়েছে। 

৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়।  লাদাখ  এবং জম্মু ওকাশ্মীরকে দুটি পৃথক রাজ্যে পরিণত করা হয়। এরপর দুই মাসের বেশি সময় কেটে যাওয়ার পর পরিবর্তন করা হল জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল। ২০১৮ সালের  অগস্ট মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন সত্যপাল মালিক। তাঁকে বর্তমানে গোয়ায় স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সত্যপাল মালিক প্রথম জীবনে রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।  ৫১ বছর বয়সে তিনি গোয়ার রাজ্যপাল হন। অন্য দিকে, মুর্মু ছিলেন আইএএস অফিসার। তিনি গুজরাতে নরেন্দ্র মোদীএবং অমিত শাহের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছিলেন। 

গিরিশ চন্দ্র মুর্মু ১৯৮৫ ব্যাচে গুজরাত ক্যাডার আধিকারিক ছিলেন। পরে তিনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের ব্যয় সচিব হন। চলতি বছর নভেম্বর মাসে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে, ১৯৭৭ ব্যাচের আধিকারিক রাধাকৃষ্ণ মাথুর প্রতিরক্ষা বিভাগের সচিব ছিলেন। তিনি গত বছর অবসর নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার তাঁদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গিয়েছে।