সংক্ষিপ্ত
- লখনউয়ের সীতাপুরের ঘটনা
- অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার উপর নির্যাতন চার তুতো দাদার
- গণধর্ষণে অভিযুক্ত এক শিক্ষকও
- স্কুলের মধ্যেই চলত নির্যাতন
পড়াশোনায় তাদের থেকে ছাপিয়ে যাচ্ছিল তুতো বোন। আর তার শাস্তি দিতেই বারংবার অজ্ঞান করে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল দাদাদের বিরুদ্ধে। এমন কী, অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার এক শিক্ষকও ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শিউড়ে ওঠার মতো এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের সীতাপুরের একটি সরকারি স্কুলের মধ্যে।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত চার যুবক এবং নির্যাতিতা যৌথ পরিবারের সদস্য। কিন্তু নির্যাতিতা ছাত্রীটি বরাবরই পড়াশোনায় ভাল, স্কুলের পরীক্ষাতেও সে দারুণ ফল করত। উল্টো দিকে অভিযুক্ত চারজনই পরীক্ষায় খারাপ ফল করত। তা নিয়ে বাড়িতে অবিরাম কথাও শুনতে হতো। সেই রাগ থেকেই নিজেদের বোনের উপরেই এমন পাশবিক নির্যাতনের সিদ্ধান্ত নেয় অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন- চলন্ত গাড়িতে তুলে কিশোরীকে গণধর্ষণ বিহারে
সবথেকে মারাত্মক বিষয়, একটি সরকারি স্কুলের মধ্যেই এই কাণ্ডের কথা জানতে পারে ওই স্কুলেরই এক শিক্ষক। তার পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে ওই শিক্ষকও ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করতে শুরু করে। ধর্ষণের আগে ওই ছাত্রীকে স্কুলের স্টাফররুমে একসঙ্গে টিফিন করতে ডাকত তার দাদারা। সেই খাবারের মধ্যেই মেশানো থাকতে অচেতন করার ওষুধ। খাবার খেয়ে ছাত্রীটি সংজ্ঞা হারালেই পালা করে তাকে ধর্ষণ করত অভিযুক্তরা। প্রত্যেকবারই কুকীর্তির ভিডিও মোবাইলে তুলে রাখা হত। সম্প্রতি অভিযুক্তদের মোবাইল থেকে ওই ভিডিওই পরিবারের অন্য কয়েকজনের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। তার পরেই বিষয়টি জানতে পারে ছাত্রীর বাবা- মা। তাঁরাই ওই শিক্ষক-সহ পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ জানান। যদিও, এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, তার উপরে নির্যাতনের কথা ওই ছাত্রীটিও জানত না। ভিডিও ক্লিপ দেখার পরেই বিষয়টি সম্পর্কে সেও অবগত হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, জ্ঞান ফেরার পরে প্রত্যেকবারই ছাত্রীর দাদারা এবং ওই শিক্ষক তাকে বলত, স্কুলের মাঠে সে জ্ঞান হারানোর পরে তাকে স্টাফ রুমে নিয়ে আসা হয়েছে। গত দু' বছর ধরেই ছাত্রীটিকে এই ভাবে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের ধারণা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কিন্তু সরকারি স্কুলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এই কাণ্ড চললেও কেন তা কারো নজরে পড়ল না, সেই প্রশ্নও উঠছে।