ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটিকে জোর করে কোলে নিয়ে জঙ্গলে আগুন জ্বালিয়ে সাত পাক ঘোরে। একজন মহিলা তাকে তা করতে বাধা দিতে দেখা যায় কিন্তু ছেলেটি পুরো পাক নেওয়ার পরেই মেয়েটিকে ছেড়ে ফেলে চলে যায়।

এ যেন তালিবানি রাজত্ব! এই ভিডিও দেখলে আফগানিস্তান নাকি এটা ভারত বোঝা দায়। প্রকাশ্যে দিবালোকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ উঠল রাজস্থানের জয়সলমীরে। সেই ভিডিও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে জয়সলমীর জেলার মোহনগড় থানা এলাকা থেকে এক মেয়েকে অপহরণ করা হয়। ওই কিশোরীকে অপহরণের পর অভিযুক্তরা জোর করে বিয়ে করে। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার জেলা কালেক্টরের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেন কিশোরীর পরিবার স্বজন ও গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ তৎপর হয়ে মামলা দায়ের করে এবং প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি গত পয়লা জুন ঘটেছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি মেয়েটিকে জোর করে কোলে নিয়ে জঙ্গলে আগুন জ্বালিয়ে সাত পাক ঘোরে। একজন মহিলা তাকে তা করতে বাধা দিতে দেখা যায় কিন্তু ছেলেটি পুরো পাক নেওয়ার পরেই মেয়েটিকে ছেড়ে ফেলে চলে যায়। আশ্চর্যের বিষয় হল, যে মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্তরা সাত দফা ঘোরে, তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ১২ জুন।

প্রশ্ন উঠেছে অশোক গেহলট সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে

এই ঘটনার ভিডিও টুইট করেছেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন স্বাতি মালিওয়াল। তিনি তার টুইটে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকেও ট্যাগ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একই সময়ে, বিজেপি নেতা রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরও রাজস্থানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন।

Scroll to load tweet…

মেয়েটির পরিবারের লোকেদের দায়ের করা রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, গত ১ জুন মেয়েটির বাড়ির বাইরে থেকে একটি স্করপিওতে আসা ১০ থেকে ১২ জন গুণ্ডা তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা পুরো ঘটনার জন্য পুষ্পেন্দ্র সিং নামে এক যুবককে অভিযুক্ত করে। এই ব্যক্তি নাকি কোনও অর্থলগ্নীকারী সংস্থায় কাজ করেন। অভিযোগ রয়েছে, মেয়েটিকে বাড়ি থেকে অপহরণ করার পর ওই লোকজন তাকে গ্রামের বাইরে নিয়ে গিয়ে একটি মাঠে নিয়ে যায় এবং সেখানে ঘাস পুড়িয়ে দেয়। এ সময় ওই লোকটি মেয়েটিকে কোলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করার জন্য সাত পাক ঘোরে।

পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়

মেয়েকে অপহরণের পর স্বজনরা অভিযুক্তদের ধাওয়া করলেও ধরতে পারেনি। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তরা পরিবারকে হুমকি দিয়েছে, অন্য কোথাও বিয়ে করলে তার পরিণতি খুব খারাপ হবে। এরপর মেয়েটি ছাড়া আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়।