সংক্ষিপ্ত
তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রত্যাহার ঘোষণা করেছেন সেই রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইজিনহো ফেলেইরো । 'দক্ষ মহিলা'র হাতে 'ব্যাটন' তুলে দিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের প্রার্থী পদ প্রত্যাহার ফেলেইরো-র। উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারিতে হতে চলেছে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই গোয়ার ফতোর্দা বিধানসভা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রত্যাহার ঘোষণা করেছেন সেই রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইজিনহো ফেলেইরো (Luizinho Faleiro)। তবে একজন মহিলাকে সেই প্রার্থী পদ তুলে দিলেন ফেলেইরো। অল্পবয়সী ওই মহিলার প্রার্থীর নাম সিওউলা অভিলিয়া ভাস।
পানাজিতে লুইজিনহো ফেলেইরো জানিয়েছেন, আমি গোয়ার ফতোর্দা থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রত্যাহার করছি। এবং একজন দক্ষ মহিলার হাতে সেই ব্যাটন তুলে দিচ্ছি। মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, নারীর ক্ষমতায়ন এটাই দলীয় নীতি, বলে বার্তা ফেলেইরো-র। লুইজিনহো ফেলেইরো সঙ্গে পানাজিতে উপস্থিত রয়েছেন মহুয়া মৈত্র। ১৪ ফেব্রুয়ারিতে হতে চলেছে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে গত সপ্তাহে শুরুতেই মঙ্গলবার ১১ জন প্রার্থীর প্রথম তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল।প্রার্থী তালিকায় নাম আসে সেই রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁরা হলেন লুইজিনহো ফালেইরো এবং চার্চিল আলেমাও। উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর তৃণমূলে যোগদান করেন লুইজিহো ফালেইরো। যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয় তাঁকে। লুইজিহো ফেলেইরিওকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি পদে নিয়োগ করেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ফালেইরো রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি এবং বর্তমানে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। যদিও এবার সেই প্রাথী পদ থেকে প্রত্যাহার ঘোষণা করে প্রার্থী পদ তুলে দিলেন একজন মহিলাকে। অল্পবয়সী এই মহিলার প্রার্থীর নাম সিওউলা অভিলিয়া ভাস। বয়েস অল্প হলেও তিনি পেশায় একজন আইনজীবী।
অপরদিকে, দোরগড়ায় গোয়া বিধানসভার নির্বাচন। তাঁর আগে প্রার্থী তালিকা নিয়ে খুবই বিশ্লেষণ করছে ঘাসফুল শিবির। কারণ বিধানসভা ভোটগুলিতে ভাল ফলাফল করলেই দিল্লিতে শক্তি বৃদ্ধি হবে। তাই লোকসভা নির্বাচন করে পাখির চোখ করে এই মুহূর্তে গোয়া বিধানসভা-সহ বাকি রাজ্যের ভোটগুলিতে মন দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।প্রসঙ্গত, গোয়া কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি যে কাজ পশ্চিমবঙ্গে করেছে সেই একই কাজ গোয়াতে করছে তৃণমূল। বিজেপি যেভাবে তৃণমূলের ঘর ভেঙে শক্তি বাড়িয়েছিল ঠিক সেভাবেই গোয়াতে কংগ্রেসের ঘর ভেঙে শক্তিশালী হয়েছে ঘাসফুল। পাশাপাশি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ গোয়াত দলের ভাঙন রুখতে সনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধীর কোনও ইচ্ছে নেই। বিষয়টি তাঁরা পুরোপুরি উদাসীন বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে সম্প্রতি কংগ্রেসের জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস শক্তি বাড়াচ্ছে বলে চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে।