সংক্ষিপ্ত
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের (সিএমও) একজন সিনিয়র আধিকারিক বলেছেন যে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের সময় ছুটি দেওয়ার চল রয়েছে। তিনি দাবি করেন, গত বছর গোয়ায় নির্বাচনের সময় কর্ণাটকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
গোয়ায় ভারতীয় জনতা পার্টি অর্থাৎ বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিবেশী কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প ইউনিটের কর্মচারীদের জন্য ১০ই মে অর্থাৎ বুধবার সবেতন ছুটি ঘোষণা করেছে। যদিও প্রমোদ সাওয়ান্তের নেতৃত্বাধীন সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় বিরোধী দল এবং শিল্প ইউনিটগুলি। গোয়া স্টেট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বলেছে যে তাদের ছুটির বিরুদ্ধে আইনি আশ্রয় নিতে হতে পারে।
যাইহোক, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের (সিএমও) একজন সিনিয়র আধিকারিক বলেছেন যে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে নির্বাচনের সময় ছুটি দেওয়ার চল রয়েছে। তিনি দাবি করেন, গত বছর গোয়ায় নির্বাচনের সময় কর্ণাটকে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। গোয়া সরকার সোমবার কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ১০মে সবেতন ছুটি ঘোষণা করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিল্প ইউনিটে কর্মরত কর্মীদের জন্য এই ছুটি থাকবে।
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে "অযৌক্তিক" হিসাবে বর্ণনা করে গোয়া রাজ্য শিল্প সমিতির সভাপতি দামোদর কোচকার বলেছেন, "গোয়ার শিল্পগুলি মনে করে যে এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং বোকামী সিদ্ধান্ত।" আম আদমি পার্টি (এএপি) গোয়া ইউনিটের সভাপতি অমিত পালেকারও রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন এবং এটিকে "অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত" বলে অভিহিত করেছেন। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টিও (জিএফপি) রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছে।
এদিকে, রাত পোহালেই কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। ১০ মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। ২২৪ আসনেরর কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস, বিজেপি ও জেডিএসই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। কর্ণাটকের ভোটার ৫.২ কোটি। যারমধ্যে এই প্রথম ভোট দেবেন ৯ লক্ষ ১৭ হাজার। ভোট গণনা আগামী ১৩ মে। এবারের ভোট মূলত লড়াই তিনটি দলের মধ্যে- বিজেপি, কংগ্রেস ও জনতা দল সেকুলার। ২২৪ অসনের কর্ণাটক বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ১১৩। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই ম্যাজিক ফিগারের গণ্ডি পার হতে গিয়েই ঘাম ঝরেছিল বিজেপি কংগ্রেস দুই রাজনৈতিক দলের। সংখ্যার খেলায় দুই দলই একে অপরকে টক্কর দেওয়ার মরিয়া প্রয়াস করেছিল।
কর্ণাটক জয়ের লক্ষ্যে একাধিকবার কর্ণাটক সফর করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রোড শো থেকে জনসভায় প্রায় চষে ফেলেছেন গোটা কর্ণাটক রাজ্য। একের পর এক সভায় মোদী নিশানা করেছেন প্রতিপক্ষ কংগ্রেস ও জেডিএসকে। তেমনই রোড শোতে পেয়েছেন কর্ণাটকের মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনা। কোথাও তাঁকে ফুলের বৃষ্টিতে বরণ করে নিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। কোথাও আবার মোদীকে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য পরিবারের সদস্যরা রাস্তার দুই ধারে ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিল।