সংক্ষিপ্ত

আবারও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা রাহুল গান্ধীর
সংবাদ মাধ্যমের ক্লিপিং ব্যবহার প্রমান হিসেবে
দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে সক্রিয় সরকার
বললেন এটি দ্বিতীয় নমুনা 
 

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শনিববার আবাও নিশানা করেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। একটি ডিজিটাল মিডিয়ার ক্লিপিং তুলে ধরে রাহুল গান্ধী বলেন, সরকার সক্রিয়ভাবে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। এটাই তার দ্বিতীয় নিদর্শন। পাশাপাশি আবারও দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে নগদ অর্থ সরবরহারে দাবিও তুলেছেন তিনি। 


রাহুল গান্ধীর কথায় দেশের আর্থনীতির চালিকা শক্তি হল ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটীর শিল্প। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এমএসএমই সেক্টর প্রায় বিধ্বস্ত। তাই দেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার করতে দরিদ্র মানুষদের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার পাশাপাশি দেশের মাঝারি ও কুটীর শিল্পের জন্য উপযুক্ত আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করার কথাও বলেন। তাঁর কথায় ক্ষুদ্র ও কুটীর শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু মানুষের জীবিকা। তাই এই ক্ষেত্রটি  পুনরুজ্জীবিত করতে না পারলে কিছুতেই দেশে কর্ম সংস্থান করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। 


করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যখন দেশে তেমনভাবে প্রভাব পড়েনি তখন থেকেই রাহুল গান্ধী বিষয়টি নিয়ে অবগত করে যাচ্ছেন। সেই সময়ই তিনি দাবি করেছিলেন দেশ বড়সড় আর্থিক বিপর্যের  মুখোমুখি হতে পারে।আর লকডাউনের প্রথম থেকে রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, দেশের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষরা চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে চলেছে। বিপন্ন হতে পারে দেশের অর্থনীতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রথম থেকেই তিনি দেশের দরিদ্র মানুষের হাতে নগদ টাকা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। লকডাউনের ৭৪ তম দিনে এসে নিজের দাবিতেই অনড় রয়েছেন তিনি। 

গতকালই রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছিলেন, লকডাউন সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সেইসঙ্গে তিনি একই গ্রাফ চার্চ তুলে ধরেন। যেখানে রাহুল দাবি করেছেন, যেসব দেশ লকডাউনের পথে হেঁটেছে সংক্রমণ কমে যাওয়ার পরই তারা আনলকের পথে হেঁটেছে। কিন্তু আমাদের দেশে  অন্যছবি। দেশে যেখন সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে তখনই তুল নেওয়া হয়েছে লকডাউন।