সংক্ষিপ্ত
সংসদে প্রবেশের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আমাদের সরকার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সংসদে আমাদের তর্ক করা উচিত। তবে সব ধরনের শালীনতা বজায় রেখেই সবকিছু করা প্রয়োজন।"
আজ থেকে সংসদের (Parliament) শীতকালীন অধিবেশন (Winter Session) শুরু হচ্ছে। চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল হতে পারে সংসদ। আজই কেন্দ্রের তরফে কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার বিল পেশের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর (Narendra Singh Tomar)। বিজেপি (BJP) ও কংগ্রেসের (Congress) তরফে হুইপ জারি করে লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। যদিও অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
সংসদে প্রবেশের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আমাদের সরকার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সংসদে আমাদের তর্ক করা উচিত। তবে সব ধরনের শালীনতা বজায় রেখেই সবকিছু করা প্রয়োজন।"
বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে অধিবেশন চলাকালীনই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। যার ফলে অনেক সময় সংসদ মুলতুবি রাখতে হয়। তাই এই অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের সতর্ক করে দিলেন মোদী। তিনি বলেন, "এটা সংসদের একাট গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন। দেশের নাগরিকরা একটি ফলপ্রসূ অধিবেশন চায়। তারা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য তাদের দায়িত্ব পালন করছে।"
এছাড়াও করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন (Omicron) নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোদী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "করোনার নতুন প্রজাতি (New Covid Variant) নিয়ে আমাদের সবার সতর্ক হওয়া উচিত।"
উল্লেখ্য, শীতকালীন অধিবেশনে ৩০টি বিল পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে থাকছে বিদ্যুৎ, পেনশন, ব্যাঙ্কিং, বিভিন্ন আর্থিক সংস্কার সংক্রান্ত বিলও। তবে এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিল নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিরোধীদের। যার ফলে এই অধিবেশনও উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য বিরোধীদের আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে কৃষি আইনই। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) আগে আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েই কেন্দ্রকে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছে বিরোধীরা। পাশাপাশি, পেট্রোপণ্য ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লখিমপুরকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ইস্তফা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে সরব হবে কংগ্রেস।
এদিকে শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে গতকাল কেন্দ্রের তরফে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বেঙ্কাইয়া নাইডুর (M. Venkaiah Naidu) ডাকা বৈঠকেও উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। যদিও এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। আর তা নিয়েই সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। পাশাপাশি আজ বিরোধী দলগুলির একটি বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। যদিও সেখানে অনুস্থিত থাকতে পারে তৃণমূল। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত তৎপর সোনিয়া গান্ধী। মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আলাদা করেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।