সংক্ষিপ্ত
এপিক (EPIC) বা সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে আলোচনায় রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt)। আলোচনার প্রস্তাবে অসম্মত হওয়ার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ(Parliament)। বিশেষ করে রাজ্যসভা (Rajyasabha)।
Parliament Session: এপিক (EPIC) বা সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে আলোচনায় রাজি নয় কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt)। আলোচনার প্রস্তাবে অসম্মত হওয়ার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ(Parliament)। বিশেষ করে রাজ্যসভা (Rajya Sabha)। প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), বিজেডি (BJD)। জিরো আওয়ারে বিজেডি ও তৃণমূল কংগ্রেস ওয়াকআউট করে। তারপর ধীরে একে একে বাকি বিরোধী দলের সাংসদরা রাজ্য থেকে বেরিয়ে যান।
সোমবার রাজ্যভায় এপিক বা সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কংগ্রেস সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গের দাবিতে বিরোধী দলগুলি রাজ্যসভায় এপিক নিয়ে আলোচনার দাবি জানায়। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্রীয় সরকার। এপিক নিয়ে কোনও বিতর্কে সরকার রাজি হয়নি। কিন্তু তারপর মঙ্গলবারও রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস এপিক নিয়ে আলোচনার দাবি জানায়। এদিনই বিরোধীদের প্রস্তাব মেনে নয়নি সরকার। তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। একে একে রাজ্যসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার রয়েছে। নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সমাবেশে এই দাবিতে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এপিক ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন জানিয়ে পাশে থেকে কংগ্রেস সহ দেশের একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল। আর সেই কারণেই বিরোধীদের পাশে পেয়ে এপিক ইস্যুতে সংসদেও সরব হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সরকার এপিক নিয়ে কোনও রকম আলোচনায় রাজি নয়। অন্যদিকে এদিন এপিক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ১০ প্রতিনিধি নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গেই দেখা করবে। এপিক নিয়ে রাজ্যে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার থেকে সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই এপিক নম্বর বিতর্কে কেন্দ্রের উপর চাপ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেন বিরোধীরা। এ ক্ষেত্রে বিরোধী জোটের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা যায় বাংলার শাসকদল তৃণমূলকে। তার পর বাকি বিরোধী দলগুলিও এপিক নিয়ে আলোচনার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।