পুজোর মাসে অনেক দেরিতে হবে বেতন! ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন সরকারি কর্মীরা, মিলল খারাপ খবর
আর সপ্তাহ দুয়েক। তারপরেই দুর্গাপুজো। এই মাসে একটু তাড়াতাড়ি বেতন মিললে উৎসবের মরসুমটা যেন ভালো কাটে। সামনেই টানা ছুটি, তার উপর আবার বোনাসের খুশি। কিন্তু এরই মধ্যে খারাপ খবর এল সরকারি কর্মীদের জন্য!
- FB
- TW
- Linkdin
সামনেই টানা ছুটি, তার উপর আবার বোনাসের খুশি। সব মিলিয়ে খুশি খুশি ভাব সরকারি কর্মীদের (Government Employees) মনে। তবে এরই মাঝে এল দুঃসংবাদ।
পুজোর মাসে দেরিতে বেতন পাবেন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা? পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও দেরিতে পেনশন পাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন। কিন্তু কেন? হঠাৎ কি হল?
রাজ্যের দুটি বড় শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে। আসলে শিক্ষা দফতরের এক নির্দেশিকার জেরে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে শিক্ষা দফতরের সচিব বৈদ্যনাথ যাদব এক চিঠি মারফত জানিয়েছিলেন যে, ইতিমধ্যে কর্মরত শিক্ষকদের তথ্য আপলোড করা হলেও পেনশনভোগী এবং গেস্ট টিচারদের ক্ষেত্রে তা এখনও অসম্পূর্ণ।
পাশাপাশি বারংবার বলা সত্ত্বেও অব্যবহৃত অর্থ যে শিক্ষা দফতরে পাঠানো হয়নি, সেই বিষয়ের উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, আগের অব্যবহৃত টাকা ফিরিয়ে দেওয়া না হলেও নতুন করে টাকা বরাদ্দ করা হবে না।
এর জেরেই অনিশ্চিয়তায় ভুগতে শুরু করেছেন শিক্ষকরা। এই বিষয়ে শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এই টানাপোড়েনের জেরে তাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এই বিষয়ে বিহার সরকারের শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে টানাপোড়েন চলছে, তাতে শিক্ষক এবং কর্মীদের কোনও দোষ নেই।
তবে এর জেরে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এক্ষেত্রে ২০২২ সাল এবং ২০২৩ সালের মতো এবারও উৎসবের মরশুমে দেরিতে বেতন পাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এমনিতেই বিহারের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তুলনায় অনেকটা কম ডিএ পান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের এরিয়ারও প্রদান করা হয়নি।
এই অবস্থায় এবার বেতন নিয়ে নয়া সমস্যা শুরু হওয়ায় রীতিমতো হতাশ সকলে।