সংক্ষিপ্ত

প্রয়াগরাজ কুম্ভে এক বাবা মাথায় শস্য উৎপাদন করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। গত ১৪ বছর ধরে এই অভিনব কাজ করে আসা 'শস্য বাবা' এটিকে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করেন।

কয়েক মাসের প্রস্তুতির পর প্রয়াগরাজে ত্রিবেণী সঙ্গমের তীরে তাঁবুর শহর গড়ে উঠেছে। মহাকুম্ভের সময় প্রায় চল্লিশ কোটি মানুষ সঙ্গমে ডুব দেবেন। সাধু-সন্ত এবং ভক্তদের এই মহাসমাবেশে এমন অনেক সাধু-সন্ত উপস্থিত হচ্ছেন যাঁরা তাঁদের পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-ব্যবহার এবং স্টাইলে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। 

কে এই শস্য বাবা? 

প্রয়াগরাজে কোথাও বাহু উপরে তুলে সাধু দাঁড়িয়ে আছেন, আবার কোথাও অগ্নির সামনে ভস্ম লাগিয়ে ধ্যানমগ্ন সাধু বসে আছেন। এমন একজন বাবাও আছেন যিনি নিজের মাথায় শস্য ফলিয়েছেন। এই হলেন শস্য বাবা, যিনি গত চৌদ্দ বছর ধরে নিজের মাথায় গম, সরিষা এবং অন্যান্য শস্যের ফসল ফলিয়ে আসছেন। মহাকুম্ভে আগত শস্য বাবার কথা অনুযায়ী, তিনি মাথায় উৎপাদিত শস্য ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করেন। বাবার কথায়, মৌনী অমাবস্যায় তিনি ফসলের প্রসাদ বিতরণ করবেন।

সবুজায়ন এবং বিশ্বশান্তির বার্তা

সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে বাবা বলেন যে তিনি সবুজায়ন এবং বিশ্বশান্তির বার্তা প্রদানের জন্য মাথায় শস্য ফলানো শুরু করেছিলেন। বাবা নিজের মাথায় মাটি রাখেন এবং তাতে বীজ বপন করেন। তারপর তিনি নিজের মাথায় উৎপাদিত শস্যের পরিচর্যা করেন। যদি আপনিও কুম্ভে যাচ্ছেন, তাহলে শস্য বাবার মতো বাবাদের সাথে অবশ্যই দেখা করুন। প্রতিটি সাধু-সন্তের কাছে আপনার শেখার জন্য কিছু না কিছু থাকবেই।

১২ বছর অন্তর হয় মহাকুম্ভ। কুম্ভেমেলার পৌরাণিক কাহিনি হল-কুম্ভকে কেন্দ্র করেই দেবতা আর অসুরদের যুদ্ধ হয়েছিল। যুদ্ধের সময় কুম্ভ থেকে চারটি ফোঁটা অমৃত পৃথিবীতে পড়ে গিয়েছিল। যার একটি ফোঁটা হয়েছিল প্রায়াগরাজে। বাকি তিন ফোঁটা অমৃত পড়েছিল হরিদ্বার, নাসিক আর উদ্দয়িনে। চারটি শহরই হিন্দুদের কাছে পুণ্য তীর্থ কেন্দ্র।