সংক্ষিপ্ত
- গ্রেনেড হামলা পুলওয়ামার ত্রাল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে
- জখম হয়েছেন ৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা
- ঘটনার পরই এলাকা খালি করে ঘিরে ফেলা হয়
- এলাকায় জারি রয়েছে তল্লাশি
বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীরের ত্রাল বাসস্ট্যান্ড চত্বর। এর জেরে সাতজন স্থানীয় বাসিন্দা জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। ঘটনার পরই এলাকা ঘিরে ফেলে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ। জারি রয়েছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন- পূর্ব লাদাখের প্রবল শীতে কাবু , ৯০ শতাংশ সেনাই সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল চিনা প্রশাসন
সিআরপিএফ-এর তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই গ্রেনেডটি হাওয়ায় ফেটে যায়। সেই কারণে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। পুলওয়ামার ত্রালের ওই বাসস্ট্যান্ডে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরাই জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান সিআরপিএফের। ঘটনার পরই এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ত্রালের সাব ডিস্ট্রিক্ট হসপিটাল থেকে তাঁকে শ্রীনগরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাকিরা এখন সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কয়েকদিন আগে জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাকেশ পণ্ডিত নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যা করে। ত্রাল এলাকায় ওই বিজেপি নেতা এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় তিনজন তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের ওই ত্রালেই গ্রেনেড হামলা চালানো হল। গ্রেনেড হাওয়ায় ফেটে যাওয়ার ফলে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই মিলেছে। যদিও জখমরা সবাই সাধারণ বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সিআরপিএফ।