সংক্ষিপ্ত

বিহারের ক্ষমতাসীন জেডিইউ সোমবার বলেছে যে তারা গুজরাটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য উপজাতি নেতা ছোটুভাই ভাসাভার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় উপজাতি পার্টির (বিটিপি) সাথে আলোচনা করছে।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এবং জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা নীতীশ কুমারের পা পড়তে চলেছে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে। সূত্রের খবর গুজরাট নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে প্রচারে নামতে চলেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে বিহারে সরকার পরিচালনা করা নীতিশ কুমার এখন আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে রয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের বাইরে তার উপস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন নীতীশ কুমার। তাই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ঝাঁপাতে প্রস্তুত হচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। আর তার শুরু হবে খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিজের গড় গুজরাট থেকেই।

বিহারের ক্ষমতাসীন জেডিইউ সোমবার বলেছে যে তারা গুজরাটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য উপজাতি নেতা ছোটুভাই ভাসাভার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় উপজাতি পার্টির (বিটিপি) সাথে আলোচনা করছে। গুজরাটের ঝাগাদিয়া আসনের সাত বারের বিধায়ক ভাসাভা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে তিনি নীতীশ কুমারের সাথে জেডিইউ এবং বিটিপি-র মধ্যে জোট সম্পর্কে কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে নীতীশ কুমার গুজরাট নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হয়েছেন।

BTP-এর প্রতিষ্ঠাতা আদিবাসী নেতা বলেছেন, "BTP এবং JDU পুরোনো বন্ধু এবং তাই আমরা একটি প্রাক-নির্বাচন জোট গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা জেডিইউকে সাহায্য করব এবং তারা আমাদের সাহায্য করবে। গুজরাটে প্রচার করবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের লক্ষ্য বিজেপির ক্ষমতাকে উপড়ে ফেলা।

এই তথ্যকে স্বীকৃতি দিয়ে জেডিইউ জাতীয় সাধারণ সম্পাদক আফাক আহমেদ খান বলেছেন যে জেডিইউ গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিটিপির সাথে আলোচনা করছে। খান বলেন, ভাসাভা আমাদের খুব কাছের মানুষ, তিনি ২০১৭ সাল পর্যন্ত জেডিইউ গুজরাট ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। আমরা সেই বিধানসভার আসনগুলি চিহ্নিত করছি যেখানে প্রার্থীরা মাঠে নামতে পারেন।

আফাক খান বলেন, "যদিও আমরা (জেডিইউ) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারি, আমাদের নেতা নীতীশ কুমার গুজরাট নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালাবেন।" উল্লেখ্য, গুজরাটে ভোট হতে চলেছে পয়লা ও পাঁচই ডিসেম্বর। বিটিপি ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল এবং ২টিতে সাফল্য পেয়েছিল। ভাসাভা ২০১৭ সালে জেডিইউ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন যখন নীতীশ আবার বিজেপির সাথে জোট করার ঘোষণা করেছিলেন। এখন নীতীশ আবারও বিজেপি থেকে আলাদা হয়েছেন, তাই ভাসাভা জোটের ঘোষণা করেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এখন প্রশ্ন গুজরাটে কি সরকার বদলাবে নাকি ভারতীয় জনতা পার্টির আধিপত্য বজায় থাকবে? উত্তর পাওয়া যাবে ৮ই ডিসেম্বর। বর্তমানে, রাজ্যে বিজেপি সরকার রয়েছে এবং ১৯৯৫ সাল থেকে এই ধারাবাহিকতাই চলে আসছে। যদি ২০২২ সালেও বিজেপির বিজয় রথ চলতে থাকে তবে এটি এই রাজ্যে দলের টানা সপ্তম জয় হবে।

আরও পড়ুন 

গুজরাট নির্বাচন ২০২২: ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাটে বিজেপির জয়যাত্রা অব্যাহত-রয়েছে এই চারটি কারণ

'আজ গুজরাটের ঘরে ঘরে জল', গুজরাট উন্নয়নে মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অমিত শাহ

'মুখোশধারী সংবাদমাধ্যমের পাশে থাকতে পারছি না' রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের মাঝেই দুই চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা কেরলের রাজ্যপালের