সংক্ষিপ্ত

সংবাদ মাধ্যমের 'মুখোশ' পড়ে রয়েছেন এরা। তবে সংশ্লিষ্ট দুটি চ্যানেলেরই বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।

'এরা সংবাদ মাধ্যমের মুখোশ পরা রাজনৈতিক গোষ্ঠী।'কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের নিশানায় এবার দুই টিভি চ্যানেল। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের আঘাতই কি গিয়ে পড়ল সংবাদ মাধ্যমের উপর? সাংবাদিক বৈঠকে দুই মালয়ালি চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন কেরলের রাজ্যপাল। অভিযোগ এই দুই সংবাদ মাধ্যমেরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। ঘটনায় শাসক ও বিরোধী শিবিরের নিন্দার মুখে রাজ্যপাল।

সোমবার কোচিতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠক থেকে ওই দুই সংবাদ চ্যানেলের প্রতিবেদকদের বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তাঁর বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমের 'মুখোশ' পড়ে রয়েছেন এরা। তবে সংশ্লিষ্ট দুটি চ্যানেলেরই বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে।

সাংবাদিক বৈঠকে নিষেধাজ্ঞা জারি হয় 'সিপিএম ঘনিষ্ঠ' কৈরালি টিভি এবং 'কংগ্রেস প্রভাবিত' হিসাবে পরিচিত মিডিয়া ওয়ান টিভির উপর। রাজ্যপালের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে শাসকদল। সমালচনা এসেছে পদ্ম শিবির থেকেও। রাজ্যপাল অবশ্য স্পষ্টই জানিয়েছেন,'আমি সংবাদমাধ্যমের সব সময় পাশে থাকি। সংবাদ মাধ্যমকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। কিন্তু যারা সংবাদমাধ্যমের দায়বদ্ধতাই পালন করে না, তাঁদের পাশে থাকতে পারছি না। এরা আসলে সংবাদ মাধ্যমের মুখোশ পড়া রাজনৈতিক গোষ্ঠী।' 

প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাস ধরেই চলছে রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধ। কেরলের বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যপাল আরিফের সঙ্গে বিরোধ চলছে শাসক গোষ্ঠী সিপিএম-এর। গত মাসের শেষে চরমে পৌঁছয় বিরোধ। রাজ্যের ৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদ ছাড়ার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। এমনকি বিজয়ন সরকারের পাঠানো ১১টি অর্ডিন্যান্সেও রাজ্যপাল সই করেননি বলেও অভিযোগ। এরপরই সরকারের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করারও ইঙ্গিত দেয় কেরল সরকার।

আরও পড়ুন - 

দিল্লির মদ নীতি মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যবসায়ী এবার রাজসাক্ষী হবে আদালতে

গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় জড়িত তিন ফাঁসির আসামিকে বেকসুর খালাস করলো সুপ্রিম কোর্ট

' এটা আপের ভূত...', ক্যাপশন লেখা কেজরিওয়ালকে নিয়ে কার্টুন ভিডিও পোস্ট বিজেপির