গ্রেফতার হল মুম্বই ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে অন্যতম চক্রী মুনাফ হালারি মুসা।মুম্বই বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করল গুজরাট এটিএস।তার কাছ থেকে মিলেছে পাকিস্তানের পাসপোর্ট।ধারাবাহিরক বিস্ফোরণে জড়িত থাকরা পাশাপাশি একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত সে।

মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ১৯৯৩ সালের মুম্বই ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত মুনাফ হালারী মুসাকে গ্রেফতার করল গুজরাট সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড বা এটিএস। জানা গিয়েছে, মুসা বর্তমানে মহম্মদ আনোয়ার হাজরি নামে পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে র নাইরোবিতে বসবাস করত। মুম্বইয়ের জাভেরি বাজারে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেই বোমাটি মুসাই লাগিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাকে খুঁজছিল পুলিশ।

১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম প্রধান আসামি হল এই মুসা। সিবিআই-এর তথ্য অনুযায়ী মুসা তিনটি স্কুটারে বিস্ফোরক ভরে রেখেছিল। একটি স্কুটার ছিল জাভেরি বাজারে, অন্য দুটি মুম্বইয়ের দাদার নাইগাম ক্রস রোডে। তিনটি স্কুটারেই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ওষুধ পাতারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে মুসার বিরুদ্ধে। গত বছর ১৫০০ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধরা পড়েছিল। সেই মামলাতেও মুসার নাম জড়িয়েছে।

Scroll to load tweet…

১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইয়ে দু'ঘন্টার মধ্যে প্রায় ১২টি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। বোম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জ, কথা বাজার, সেনা ভবনের নিকটবর্তী একটি পেট্রোল পাম্প, সেঞ্চুরি বাজারের কাছে পাসপোর্ট অফিসের বিপরীতে, মাহিম কজওয়ের জেলে কলোনি, এয়ার ইন্ডিয়া বিল্ডিং-এর বেসমেন্ট, জাভেরি বাজার, হোটেল সি রক, প্লাজা থিয়েটার, জুহুর সেন্টর হোটেল, সাহার বিমানবন্দর এবং তার নিকটবর্তী সেন্টর হোটেল-এ পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী। মোট ২৫৭ জন মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল এবং আরও ৭১৩ জন আহত হয়েছিলেন।

২০১৭ সালের জুন মাসে মুম্বইয়ের এক বিশেষ টাডা আদালত এই ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসাবে মুস্তাফা দোসা এবং আবু সালেম-সহ আরও চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এই মামলার মূল চক্রী টাইগার মেমন, দাউদ ইব্রাহিম, আনিস ইব্রাহিম এবং মহম্মদ দোসা এখনও পলাতক।