সংক্ষিপ্ত
- স্কুলের শিশুদের না বোঝার সুযোগ নিয়ে সিএএ-র সমর্থন জোগানের চেষ্টা
- তাদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লেখানো হল পোস্ট কার্ড
- এই নিয়ে তীব্র বিতর্কের মুখে গুজরাতের এক স্কুল
- বাবা-মায়েরাই সেই পোস্টকার্ড ছিঁড়ে ফেললেন
স্কুলের বাচ্চা বাচ্চা ছেলে মেয়ে। তারা না বোঝে নাগরিকত্ব, না বোঝে ধর্মীয় জিগির। আর তাদের দিয়েই স্কুল থেকে জোর করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-এর সমর্থনে পোস্টকার্ড বার্তা লেখানোর অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়ায় অভিভাবকদের মধ্য়ে। ঘটনা খোদ প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতের।
স্কুল শিক্ষার্থীদের দিয়ে পোস্টকার্ডে লেখানো হয়, 'অভিনন্দন। আমি, ভারতের নাগরিক, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধন আইন)-এর জন্য অভিনন্দন জানাই। আমি এবং আমার পরিবার এই আইনটিকে সমর্থন করি'।
অভিযোগের তির আহমেদাবাদের লিটল স্টার নামে এক স্কুলের দিকে। এই পোস্টকার্ড লেখার কথা জানাজানি হয়ে যেতেই অভিভাবকদের স্কুলে এসে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। চাপে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বাবা-মা'দের কাছে ক্ষমা চান। বিষয়টি নেহাতই 'ভুল বোঝাবুঝি' বলে দাবি করে পোস্টকার্ডগুলি বাবা-মা'দের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সেখানেও বিষয়টি থামেনি। অবুঝ শিশুদের দিয়ে যে পোস্টকার্ড লেখানো হয়েছিল সিএএ-র সমর্থনে, তাই সিএএ বিরোধিতার অস্ত্র হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে অভিভাবকরা স্কুলের ট্রাস্টি তথা মালিকের কার্যালয়ে দাঁড়িয়ে ওই পোস্টকার্ডগুলি ছিঁড়ে কুটি কুটি করে দেন। পরে সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, তাঁদের সন্তানদের বিষয়টি সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। স্কুল থেকে তাদের এই কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
এদিকে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে ওই স্কুলের মালিক বলেছেন, বিষয়টি মিটে গিয়েছে। মঙ্গলবার, তাঁর অজান্তেই কিছু ক্লাসে কয়েকজন শিক্ষক এই কাজ করিয়েছিলেন শিশুদের দিয়ে। এটা তাঁদের ক্ষমতার অপব্যবহার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকেই সিএএ-র পক্ষে সমর্থন জোগাতে চাপ দেওয়া, জোর খাটানোর অভিযোগ আসছে। বৃহস্পতিবারই বেঙ্গালুরুতে একটি কলেজের শিক্ষার্থীদেরও স্থানীয় বিজেপি নেতারা জোর করে সিএএ সমর্থনে লেখা একটি ব্যানারে সই করতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।