সংক্ষিপ্ত
- গত মঙ্গলবার নির্ভয়াকাণ্ডের আসামিদের ফাঁসির দিন ঘোষণা করা হয়েছে
- সেই সময় এক আসামি ছিল একটি পৃথক কক্ষে
- বাকি তিন আসামি ছিল একসঙ্গেই
- জীবনের অন্তিম দিন জানার পর কী প্রতিক্রিয়া ছিল তাদের
মঙ্গলবার, দিল্লির এক দায়রা আদালত ২০১২ সালের নির্ভয়া মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড পরোয়ানা জারি করেছে। বিচারক মৃত্যুদণ্ডের তারিখ ঘোষণার পরই চার আসামির মধ্যে একজন কান্নায় ভেঙে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন তিহার জেলের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে বাকি তিনজন অবশ্য এরপরেও নির্বিকার ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার জানানো হয় ২২ জানুয়ারী সকাল ৭টায় ফাঁসি হবে নির্ভয়া কাণ্ডের চার আসামির। ওই দিন আসামিদের কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে তারা আদালতে হাজিরা দেয়। ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটাই তাদের জীবনের শেষ মুহুর্ত হতে যাচ্ছে শোনার পরই অন্যতম আসামি ২৫ বছরের পবন কান্নায় ভেঙে পড়ে বলে জানা গিয়েছে।
পবনকে তিহার জেলের ৪ নম্বর কারাগারে আলাদাভাবে রাখা হয়েছিল। আর মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা এবং অক্ষয় সিং-কে ছিল একসঙ্গেই ২ নম্বর কারাগারে। তবে ফাঁসির দিন ঘোষণার পর পদ্ধতি মেনে আসামিদের প্রত্যেককেই এখন পৃথক পৃথক কারাগারে একা রাখা হয়েছে। তিহার জেলের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁদের উপর সর্বক্ষণ নজরদারি করা হবে এবং প্রতিদিনই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হবে।
তিহার জেলের ডিজি সন্দীপ গোয়েল জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে রায়ের কপি এবং মৃত্যু পরোয়ানা এসে পৌঁছেছে। এরপর আসামিদের পরিবারের সদস্যদের তাদের সঙ্গে শেষ দেখা করার জন্য খবর দেওয়া হবে। তিহার জেলেই তাদের শেষ দেখার আয়োজন করা হবে। এই প্রথম দেশে একসঙ্গে চারজনের ফাঁসি হবে। তার জন্য নতুন করে ফাঁসি কাঠ তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে বক্সার জেল থেকে অর্ডার দিয়ে ফাঁসির দড়িও আনানো হয়েছে তিহার জেলে।