সংক্ষিপ্ত
- কালকার পাত্র আর রুরকির পাত্রী
- বিয়ে মিটেছিল নির্বিঘ্নেই
- কিন্তু নববধূ খেল দেখালেন বিয়ের রাতেই
- পরদিন সকালে পায়ের তলার মাটি সরে গেল পাত্রপক্ষের
এ এমন এক লুঠ, যার কথা বোধহয় কেউ ভাবতে পারে না। উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে বিয়ের রাতেই কনে শ্বশুরবাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না ও নগদ নিয়ে পালিয়ে গেল তার ভাইয়ের সঙ্গে। পরদিন সকালে উঠে শ্বশুরবাড়ির লোক অনেক খুঁজেও তাকে পায়নি। এদিকে ওই ভুক্তভোগী পরিবার থানায় গিয়ে পুলিশে কাছে অভিয়োগ জানাতে গিয়েও বিপদে পড়েছে। আপাতত তারা হরিদ্বার ও রুরকি দুই থানাতেই চক্কর কেটে যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে চন্ডিগড়ের কালকার বাসিন্দা সোনিয়া জানিয়েছেন তাঁর মাসির মেয়ে রুরকিতে থাকে। সোনিয়া তাকে বলেছিল তার ভাইয়ের বিয়ের জন্য একজন উপযুক্ত পাত্রী দেখে দিতে। কিছুদিন আগে তার মাসি ফোন করে তাঁকে রুরকি-তে একটি মেয়ের কথা বলে। সোনিয়া রুরকি গিয়ে ওই মেয়েটি এবং তার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন। মেয়েটি ও তার ভাই জানায় তাদের আসল বাড়ি উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে। এরপর দুই পক্ষ থেকেই বিয়ে স্থির করা হয়।
বুধবার পাত্র ও পাত্রী দুই পক্ষই হরিদ্বারের এক হোটেলে যায়। সেখানেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। এরপর দুই পরিবারের সদস্যরাই হোটেলের নিজ নিজ ঘরে ঘুমোতে চলে যান। কিন্তু, পরদিন ঘুম ভেঙে উঠেই পাত্রপক্ষ দেখে প্রায় দুই লক্ষ টাকার গয়না এবং ৫০,০০০ টাকার নগদ উধাও। এরপর কনে এবং তার ভাইকে ঘরে উঁকি মেরে প্রায় পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় পাত্রপক্ষের। দুজনের কাউকেই পাওয়া যায়নি। আশপাশে খোঁজাখুঁজিও করা হয়।
এরপরই পাত্রপক্ষ হরিদ্বার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, হরিদ্বার পুলিশ জানায় যেহেতু এই সম্পর্কটি রুরকিতে স্থির হয়েছিল, তাই এই বিষয়টি রুরকি-র পুলিশ দেখবে। আবার রুরকি-তে গেলে সেখানকার এসএসআই প্রদীপ কুমার জানান, ঘটনাটি যেহেতু হরিদ্বারে ঘটেছে, তাই সেখানকার পুলিশই এটা দেখবে। বউ ও গয়না-নগদ হারিয়ে এখন থানার দরজায় চক্কর কেটে যাচ্ছে পাত্রের পরিবার।