সংক্ষিপ্ত

বিজেপি এবার চাঁদনীচক থেকে প্রার্থী করেছে প্রবীণ খাণ্ডেলওয়ালকে। এই কেন্দ্রের সাংসদ হর্ষ বর্ধন। তিনি পাঁচ বারের বিধায়ক ও দুই বারের সাংসদ।

 

লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেনি বিজেপি। তাই রাজনৈতি সন্ন্যাস নিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিন দশকের রাজনৈতিক কেরিয়ারের ইতি টানলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিদায়ী বার্তাও দিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি তুলে ধরেছেন সরকারের থাকার সময় তিনি কী কী কাজ করেছেন। পাশাপাশি আগামী দিনের কাজের পরিধির কথাও জানিয়েছেন। বলেছেন, 'তামাক ও তামাকজাত পাদার্যের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ' কাজ করে যাবেন।

শনিবার প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। নাম রয়েছে ১৯৫ জনের। সেখানে নাম নেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের। বিজেপি এবার চাঁদনীচক থেকে প্রার্থী করেছে প্রবীণ খাণ্ডেলওয়ালকে। এই কেন্দ্রের সাংসদ হর্ষ বর্ধন। তিনি পাঁচ বারের বিধায়ক ও দুই বারের সাংসদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের দায়িত্বও পালন করেছেন। প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকার পরই তিনি রাজনৈতিক সন্ন্যাসের কথা ঘোষণা করেন।

৬৯ বছর বয়সী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের হাত ধরেই রাজনৈতিক পথচলা শুরু। ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে প্রবেশ। তিনি আরও বসেছেন, আরএসএস-এর পীড়াপীড়িতেই তিনি রাজনীতিতে আসেন। তিনি বলেছেন, 'তারা আমাকে বোঝাতে পেরেছিল কারণ আমার কাছে রাজনীতি মানে আমাদের তিনটি প্রধান শত্রু - দারিদ্র্য, রোগ এবং অজ্ঞতার সাথে লড়াই করার সুযোগ।'তবে রাজনীতি ছাড়লেই তিনি সমাজসেবা থেকে সরবেন না বলেও জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন হর্ষ বর্ধন। ২০২১ সালে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তার জায়গা আনা হয়েছিল মনসুখ মাণ্ডব্যকে। একজন ডাক্তার হিসেবে হর্ষ বর্ধন কোভিডের প্রথম পর্বে দুর্দান্ত কাজ করেছিলেন। গোটা দেশেই দৃষ্টান্ত হয়েছিল। কিন্তু কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে এই দেশ নজিরবিহীন ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হয়। সেই সময় ভেঙে পড়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। ভ্যাকসিন থেকে শুরু করে হাসপাতাল, অক্সিজেন সব নিয়ে প্রচুর অভিযোগ উঠেছে। ব্যার্থতার কথা তিনি স্বীকার করেছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ সেই কারণেই তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর অপসারণকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কর্মক্ষমতার গুরুত্ব সম্পর্কে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবেও দেখা হয়েছিল।