সংক্ষিপ্ত
- কুড়ুল হাতে দলীয় নেতারই গলা কাটতে গেলেন মনোহরলাল খট্টর
- তাঁকে একটি রুপোর মুকুট পরাতে গিয়েছিলেন ওই নেতা
- হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর রুদ্রমূর্তি নিয়ে কংগ্রেসের কটাক্ষ
- খট্টরের দাবি তাঁর রেগে যাওয়া যথেষ্ট যুক্তসঙ্গত
দিব্বি চলছিল সভা। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মবোহরলাল খট্টরের হাতে একটি চকচকে কুডু়ল তুলে দিয়েছিলেন এক দলীয় কর্মী। তা হাতে নিয়ে কীভাবে তাই দিয়ে শত্রুকে বিনাশ করা যায় তা জনগণকে বোঝাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়ই তাঁর পিছন থেকে দলীয় এক নেতা তাঁর মাথায় একটি রুপোর মুকুট পরাতে যান। আর তাতেই মেজাজ হারালেন খট্টর।
পিছনে ঘুরে রীতিমতো কুড়ুল উঁচিয়ে তিনি সেই নেতাকে বললেন, 'কী করছ? আমি তোমার মাথা কেটে নেব। সরাও এসব'। তাঁর সেই রুদ্রমূর্তি দেখে আর মুকুট পরানোর চেষ্টা করেননি ওই স্থানীয় বিজেপি নেতা। বরং তাঁকে দেখা যায় হাত জোড় করে ক্ষমা চাইতে। এরকমই এক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওটি পোস্ট করেন, কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। সঙ্গে তিনি লেখেন, রাগ এবং অহংকার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাঁ প্রশ্ন, নিজের দলের নেতাকেই যদি খট্টর এই কথা বলেন, তবে জনসাধারণের সঙ্গে কী করবেন? হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর কিন্তু মেজাজ হারানোর বেশ লম্বা ইতিহাস রয়েছে। এর আগে এক দলীয় কর্মী তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে গেলে তিনি ওই ব্যক্তিকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন।
এদিন অবশ্য সংবাদ সংস্থা এএনআইকে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই ভয়ঙ্কর রাগের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতায় আসার পরই বিজেপি দলে এই মুকুট পরানোর সংস্কৃতি ত্যাগ করা হয়েছে। এই অবস্থায় যদি দলের কোনও নেতা বা কর্মী যগদি তাঁকে রুপোর মুকুট পরাতে আসেন, তাহলে তিনি তা কেন সহ্য করবেন? তাঁর রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে ওই নেতা বিজেপির পুরোনো লোক, এবং খট্টরের ওই আচরণে তিনি কিছু মনে করেননি বলেও দাবি করেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী।