সংক্ষিপ্ত

নগ্ন মহিলার হোয়াটঅ্যাপ কল রিসিভ করে বিপাকে ২৫ বছরের তরুণ। সাইবার প্রতারণায় গুণতে হল ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা।

 

সাইবার প্রতারণের ফাঁদে পড়ে এক ব্যক্তিকে 'যৌন চাঁদা' হিসেবে পাঁচ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দিতে হল। ভয়ঙ্কর এই ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানায়। ভিডিও কলে এক অপরিচিত নগ্ন মহিলার সঙ্গে কথা বলের খেসারত হিসেবেই এই বিপুল পরিমাণ টাকা গুণতে হয়েছে তাঁকে। তেমনই জানিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ। প্রতারিত ব্যক্তি শনিবার সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হওয়ার পরেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সাইবার ক্রাইম থানা।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ বছরের এই ব্যক্তি আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি রাত ১০টার দিকে একটি ভিডিও কল পান। সেখানে এক মহিলা তাঁকে ফোন করেছিলেন। মহিলা নগ্ন অবস্থায় ছিলেন। সেই অবস্থাতেই তিনি ২৫ বছরের ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি কিছুক্ষণ পরেই নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। তারপর আরাও তাঁকে একই নম্বর থেকে ফোন করা হয়। হোয়াটঅ্যাপ কল করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নম্বরটি ব্লক করে দেন। তারপর অন্যান্য নম্বর থেকে ফোন আসায় তিনি নিজের মোবাইল ফোনই বন্ধ করে দেন।

পরের দিন অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যক্তি অন্য একটি নম্বর থেকে আরও একটি ফোন পান। হোয়াটসঅ্যাপ কলই করা হয়। যে ফোন করেছিল সে নিজেকে দিল্লি পুলিশের অফিসার বলে দাবি করে। তারপরই তিনি দাবি করেছিলেন একজন মহিলা নগ্ন অবস্থায় একটি ভিডিও তৈরি করেছে। একাধিক মানুষকে ওই মহিলা প্রতারণা করছেন। মহিলার ফোনে তারও ভিডিও পাওয়া গেছে। মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন পুলিশ পরিচয় দেওয়া এই ব্যক্তি। মহিলার মোবাইল ফোনে ২৫ বছর বয়সী এই তরুণের ভিডিও রয়েছে বলেও জানায় সে। তারপরই অভিযোগকারীকে একাধিকবার হুমকি দেয়। তারপরই থেকেই আম্বালার বাসিন্দাকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে ক্ষেপে ক্ষেপে টাকা আদায় করেছে। প্রথম দফায় ৫১ হাজার টাকা দিয়েছিল তরুণ। তারপর দফায় দফায় প্রায় ৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছে বলেও দাবি করে অভিযোগকারী।

অভিযোগকারী আরও জানিয়েছে, সে প্রথম দিকে বুঝতেই পারেনি যে পুলিশের পরিচয় দেওয়া এই ব্যক্তি মহিলার সঙ্গে গ্যাং-এ কাজ করে। কিন্তু তিনি যখন বুঝতে পারেন তখন অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে। তারপরই সাইবার ক্রাইম দফতরে এসে অভিযোগ জানায়। পঞ্জাবের পুলিশ জানিয়েছে, সাইবার প্রতারণা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনও নিশ্চিত নয় এই দলে কতজন সদস্য রয়েছে। পাশাপাশি এভাবে আরও অন্য কাউকে প্রতারিত করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।