সংক্ষিপ্ত
- অপরাধস্থলে নির্যাতিতার পরিবার
- তাঁদের নিয়ে যায় সিবিআই
- অপরাধস্থল খতিয়ে দেখে
- নির্যাতিতার ভাই আর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন
প্রায় এক মাস হতে চলল হাথরসের ঘটনা। গত ১৪ সোপ্টেম্বর বছর ১৯ এর দলিত তরুণীকে শারীরিক নির্যাতনের পর খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তারপর নির্যাতিতা তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরে দিল্লির একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়। নির্যাতনের ঘটনার প্রায় এক মাস পরে ঘটনাস্থলে গেল সিবিআই আধিকারিকরা। প্রয়োজনীয় নমুনা তারা সংগ্রহ করে। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে ক্রাইম সিন অর্থাৎ যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছিল সেখানে ছিলেন নির্যাতিতার মা। নির্যাতিতার মা জানিয়েছিলেন তিনি প্রথম বাজরার ক্ষেতে তাঁর মেয়েকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছিলেন। সিবিআই আইধিকারিকরাও ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন।
নির্যাতিতার মা অসুস্থ ছিলেন। তাই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। আর সেখান থেকেই অ্যাম্বুলেন্সে করেই তাঁকে ক্রাইম সিনে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সঙ্গে ছিলেন নির্যাতিতার ভাইও। ঘটনার পরই নির্যাতিতার ভাই অভিযোগ করে ছিল তাঁর বোনকে গণধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁর বোনকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিল নিহতের দাদা। এদিন সিবিআই আধিকারিকদেরও ঘটনার দিনের সমস্ত বিবরণ দিয়েছেন বলেই সূত্রের খবর। অপরাধ স্থল দেখার পাশাপাশি সিবিআই আধিকারিকরা নিহতের বাড়িতেও যান। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
সিবিআই কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছিলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ আর পুলিশ কর্মীরাও। আর এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেপুটি পুলিশ সুপার সীমা পাহুজা, যিনি সিমলা ধর্ষণ আর হত্যা মামলারও তদন্ত করেছিলেন। ইতিমধ্যেই হাথরসকাণ্ডে সিবিআই এফআইআর দায়ের করেছে। তাতে গণধর্ষণ হত্যা আর খুনের ধারা দেওয়া হয়েছে। এদিন থেকেই হাথরসকাণ্ডে হত্যা আর গণধর্ষণের তদন্ত শুরু করেল সিবিআই। ঘটনার পরই তদন্ত ভার ছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশের হাতে। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধে মৃতের দেহ পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া, অভিযুক্ত চার উচ্চ বর্ণের যুবককে আড়াল করার চেষ্টাসহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। আর সেই কারণেই নির্যাতিতা কিছুটা চাপে পড়েই হাথরসকাণ্ডের তদন্তের ভার দেওয়া হয় সিবিআইকে।