হাথরসকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ  সিবিআই তদন্তে ভরসা নেই  জানিয়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার  বয়ান নিয়েছে সিটের সদস্যরা   

রাতের অন্ধকারে জোর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বছর কুড়ির নির্যাতিতার মেয়েটির দেহ। পরিবারের অভিযোগ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল ধর্ষণের সমস্ত চিহ্ন। কিন্তু রাত আড়াইটে নাগাদ শ্মশনের আলো বন্ধ করে দলিত নির্যাতিতার দেহটি দাহ করেও নিষ্ক্রিতী পায়নি প্রশাসন। কারণ সেই চিতার আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়ঘড়ি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও শান্ত হয় নির্যাতিতার পরিবার। নিহতের মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে সিবিআই তদন্তে তাঁদের আস্থা নেই। পরিবার্তে তাঁরা ম্যাজিস্ট্রের পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। 

নিহতের ভাই জানিয়েছে সিবিআই তদন্তে তাঁরা ভসরা করছেন না। তাঁদের দাবি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির অধীনে তদন্ত করা হোক। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের দাবি অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া হোক হাথরসের জেলা শাসককে। জেলা শাসক তাঁদের ওপর চাপ তৈরি করছেন বলে আগে থেকেই অভিযোগ তুলেছিল নির্যাতিতার পরিবার। জেলা শাসকের নির্দেশেই তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অনুমাতি ছাড়াই নিযাতিতার দেহ দাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ পরিবারের। 

Scroll to load tweet…


হাথরসকাণ্ডে আগেই বিশেষ তদন্ত টিম বা সিট গঠন করেছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। রবিবার বিশেষ তদন্তকারী দলের সদস্যরা নির্যাতিরার বাড়িতে যান। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করেন। আর জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিহতের বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেই সময় তাঁর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল দলও পাঠান হয় বাড়িতে। সিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিনিয়র পুলিশ ইন্সপের্টর ভগবান স্বরূপ। তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ বজরার ক্ষেতে টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁর ২০ বছরের মেয়েকে ধর্ষমের পর প্রবল মারধর করা হয়েছিল। উচ্চ বর্ণের ৪ যুবক এই ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। যদিও উত্তর প্রদেশের পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল ধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি পোস্টমর্টেমের রিপোর্টে। পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ নিহতের পরিবার। 

Scroll to load tweet…


উত্তর প্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তদন্তকারী দল শুধু নির্যাতিতার পরিবারের বয়ানই সংগ্রহ করবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় যেকোনও মানুষ চাইলে বিবৃতি দিতে পারেন। নির্যাতিতার গ্রামে পৌঁছে সকলকেই স্বাগত জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবারও তদন্তকারী দলটি গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছিল। অন্যদিনে হাথসরের নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। হাথরসের জেলা শাসকের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন বহুজন সমাজ পার্টির তথা দলিত নেত্রী মায়াবাতী। তিনি বলেন বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের নীরবতা খুবই দুঃখজনক আর উদ্বেগজনক। কারণ একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারকে বয়ান বদল করার জন্য রীতিমত হুমকি দিচ্ছেন জেলা শাসক।