সংক্ষিপ্ত
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কথায় কথায় অ্যান্টি বায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন।
দেশে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। তবে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও ভয়াবহতা অনেকটাই কম। রোগীর শরীরে আগের তুলনায় অনেকটাই কম প্রভাব ফেলছে করোনা ভাইরাস। ফলে এই পরিস্থিতিতে সার্বিক সুস্থতার উপর অনেকটাই বেশি জোড় দিচ্ছে প্রশাসন। একদিকে যখন সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমূখী তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধের ব্যবহারে কড়াকড়ি করছে প্রশাসন। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কথায় কথায় অ্যান্টি বায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন। এই মর্মে এবার একটি নির্দেশিকাও প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কী বলা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায়?
কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে জ্বর অথবা সামান্য সমস্যার কারণে মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গাইডলাইন অনুসারে ব্যাকটেরিয়াজাত সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে এমনটা যদি চিকিৎসক মনে করেন তবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কেন অ্যান্টিবায়োটিকের উপর নিষেধাজ্ঞা?
অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কোভিডের পাশাপাশি মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে অন্য রোগ। এই মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ বাড়লেও তার প্রভাব অনেকটাই কমেছে। ফলে কমেছে করোনায় মৃত্যুহারও। কিন্তু কথায় কথায় লাগাতার অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ খাওয়ার দরুণ বাড়ছে অন্যান্য রোগের আশঙ্কাও। এই পরিস্থিতিতে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের ব্যবহারও কম করার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, নতুন অর্থ বর্ষের শুরুতেই দাম বাড়ল একগুচ্ছ জরুরি ওষুধের। প্যারাসিটামল থেকে শুরু করে অ্যামোক্সিলিনের মতো একাধিক অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ১ এপ্রিল শনিবার থেকেই ধার্য হল এই নতুন দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় এই ধরণের ওষুধের দাম এক ধাক্কায় বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। আগের থেকে অন্তত ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেল ওষুধের দাম। ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ)-এর খবর অনুযায়ী ১ এপ্রিল থেকে ওষুধের দামে ১২.১২১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে জানা যাচ্ছে। এক বছরের হিসেবে এই ১২ শতাংশ দাম বৃদ্ধি সর্বোচ্চ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একটি বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৮০০টিরও বেশি ওষুধের পাইকারি মূ্ল্যের উপর প্রভাব পড়তে চলেছে। এরমধ্যে বেশ কিছু ওষুধ জাতীয় তালিকা অনুযায়ী জরুরি ওষুধের মধ্যে পড়ে।
আরও পড়ুন -
বড় ধাক্কা মধ্যবিত্তের পকেটে, দাম বাড়ল একগুচ্ছ ওষুধের, দেখে নিন তালিকায় নাম রয়েছে কোন কোন ওষুধের
এপ্রিলের শুরুতে স্বস্তি, কমল রান্নার গ্যাসের দাম, জানুন কোন শহরে কতয় বিকোচ্ছে এলপিজি
আধার কার্ড না থাকলেও পাওয়া যাবে রেশন, নিয়মে জোর দিল কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রক