সংক্ষিপ্ত

 শনিবারই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণীঝড় জাওয়াদ ।   তাই দুর্যোগের আশঙ্কায় ইতিমধ্য়েই এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-র  দল মোতায়েন করা হয়েছে।   

 শনিবারই ধেয়ে আসছে ঘূর্ণীঝড় জাওয়াদ (Cyclone Jawad) ।বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ হওয়া হয়েছে। এই ঘূর্ণীঝড় প্রভাব ফেলবে উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ পশ্চিবঙ্গে। তাই দুর্যোগের আশঙ্কায় ইতিমধ্য়েই এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-র (NDRF and SDRF)  দল মোতায়েন করা হয়েছে।  জরুরী অপারেশনের মেরিন পুলিশকেও মোতায়েন রাখা হয়েছে। 

এনডিআরএফ-র ১১ টি দল এবং এসডিআরএফ-র তিনটি দল অন্ধ্রের উপকূলীয় জেলা শ্রীকাকুলাম, ভিজিয়ামগরম এবং বিশাখাপত্তনমে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও মুখ্যসচিব সমীর শর্মার নির্দেশ অনুসারে ৬ টি কোস্ট গার্ড দল এবং ১০ টি মেরিন পুলিশের দলকে জরুরী অপারেশনের মোতায়েন রাখা হয়েছে। যদিও ঝড়টি উড়িষ্যার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পুরীর উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্ধ্রের উত্তর উপকূলীয় জেলাগুলিতে, সরকারি যন্ত্রপাতি সতর্ক অবস্থায় নজরে রাখা হয়েছে। কারণ প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। শনিবার অন্ধ্র উপকূলের বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিমধ্য়েই জেলা গুলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।  শক্তি সঞ্চয় করে  ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এর অভিমুখ হবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। শনিবার সকালে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা উড়িষ্যা উপকূলে পৌঁছোবে। সেখান থেকে আবার গতিপথ পরিবর্তন। এবার অভিমুখ উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিক। শনিবার দুপুরের পর এটি প্রথমে উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূল বরাবর এবং পরে উড়িষ্যা উপকূল বরাবর ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০  দমকা হাওয়ায় ১১০ কিলোমিটার গতিবেগে এগোবে।

আরও পড়ুন, Navy Chief: চিনা সেনার জন্য সীমান্তে জটিলতা বাড়ছে, স্বীকার নতুন নৌসেনা প্রধানের

ঘূর্ণীঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বাংলার উপকূলে সমুদ্র উত্তাল হবে। শনিবার সকালে সমুদ্র উপকূলে বাতাসের গতিবেগ ৬৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার হতে পারে। মৎস্যজীবীদের সতর্কবার্তায় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে,  সোমবার পর্যন্ত  সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়াতে মৎস্যজীবীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে । এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতাসহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায় বৃষ্টি এবং উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। শনিবার ও রবিবার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াতে কাটবে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। শনিবার অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা পূর্ব  মেদিনীপুরে। এবং এর সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরে। উপকূলের  বাকি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।

শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে। সঙ্গে থাকবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া।রবিবার বৃষ্টির ব্যাপকতা আরও বাড়বে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা মাঝারি বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা ,ঝাড়গ্রাম এবং হাওড়া থেকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে। রবিবার ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ,উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুরে।বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান,হুগলি, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান এবং উত্তরবঙ্গের মালদা জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। এই ছেলে গুলিতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে।