সংক্ষিপ্ত
হাওয়া অফিস জানিয়েছে ক্রমশ এগিয়ে আসছে জাওয়াদ। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আজ থেকে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের (Cyclone Jawad) কবলে পড়তে চলেছে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (Andaman Nicobar Islands)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Kolkata IMD) বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের (Cyclone Jawad) অবস্থান সম্পর্কে সতর্ক করেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে ক্রমশ এগিয়ে আসছে জাওয়াদ। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) অবস্থান করছে। ৩ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টি ওড়িশার এক বা দুই জায়গায় হতে পারে। এছাড়াও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক বা দুটি জায়গায় ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের এক বা দুই জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। এক বা দুই জায়গায় ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার বেগ থাকবে প্রতি ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে চলেছে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, উত্তর ২৪পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪পরগনায়। তবে প্রভাব পড়বে না উত্তরবঙ্গে। যদিও হাওয়া অফিসের তরফে বলা হয়েছে তাপমাত্রার হেরফের ঘটতে পারে। তবে মূলত শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলায়। তবে দার্জিলিং, কালিম্পং ও মালদহে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
৪ তারিখ সকালে ঘূর্ণিঝড় পৌঁছে যাবে উত্তর অন্ধ্র ও দক্ষিণ ওড়িশায়। ওই দিন সকালে অন্ধ্র ও ওড়িশায় ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আর তার প্রভাব পড়বে এই রাজ্যেও। ৪, ৫ এবং ৬ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৪ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুরে ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ৫ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। ৪ তারিখ সকাল থেকে ৪৫-৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। পরে তা বেড়ে ৬৫ কিলোমিটার হতে পারে। তারপর হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে ৬০-৭০ কিমি হতে পারে। ৩ তারিখ থেকে মৎসজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
শক্তি সঞ্চয় করে সেখানেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই গভীর নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে জাওয়াদ। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এর অভিমুখ হবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। শনিবার সকালে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা উড়িষ্যা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা।এর প্রভাবে বাংলার উপকূলে সমুদ্র উত্তাল হবে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের জেরে দুর্যোগের আশঙ্কায় একাধিক ট্রেন বাতিল করেছে রেল।