সংক্ষিপ্ত

এক পুরুষ ও এক মহিলা পাইলটকে নিয়ে ভেঙে পড়ল হেলিকপ্টার। মৃত্যু হল এক পাইলটের, অপরজন গুরুতর আহত।

 

শুক্রবার মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পাইলটের। অপর পাইলট গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে বিমানটি মহারাষ্ট্রের এনএমআইএমএস অ্যাকাডেমি নামে একটি ফ্লাইং স্কুলের। শুক্রবার সকাল ১২ টা নাগাদ এক মহিলা ও এক পুরুষ পাইলটকে নিয়ে ভেঙে পড়ে কপ্টারটি। মহিলা পাইলট প্রাণে বেঁচে গেলেও, তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে দ্রুত এক নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে চৌপদা জেলার ওয়ারদি গ্রামের কাছে। সাতপুরা পর্বতমালার এক অংশে বিমানটি  ভেঙে পড়ে। দুপুর ১২ টা নাাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটলেও প্রশাসনের কাছে খবর আসে বিকাল সোয়া পাঁচটার সময়। তারপরই, পুলিশ ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ চলছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুই পাইলটকেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু পুরুষ পাইলটের আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। অপরজনের চিকিৎসা চলছে। তবে, দুজনের মধ্যে কে কপ্টারটি চালাচ্ছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।

এদিকে, এই দুর্ঘটনার কথা শুনে তিনি মর্মাহত বলে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত করা হবে। এর জন্য একটি তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তাঁর টুইট থেকে জানা গিয়েছে ওই পুরুষ পাইলট ছিলেন প্রশিক্ষক, আর ওই মহিলা পাইলট ছিলেন তাঁর ছাত্রী। তাঁর শোক বার্তায় জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, বলেন, 'আমরা ফ্লাইট প্রশিক্ষককে হারিয়েছি এবং প্রশিক্ষণাধীন ব্যক্তি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা এবং প্রশিক্ষণার্থীর দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করছি।'