সংক্ষিপ্ত

  • সাধারণতন্ত্র দিবসের হিংসার পর শান্তির বার্তা 
  • আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বার্তা কৃষক নেতাদের 
  • ৩৭ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে 
  • এক পুলিশ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক 

সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনে কিষাণ প্যারেড থেকে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল তারপরই আন্দোলনকারীদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান হয়েছে। পাশাপাশি যাদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের থেকে নিজেদের আড়াল করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এক নজরে দেখেনিন কৃষক আন্দোলেন আপডেট। 

১. পুলিশ সূত্রের খবর মামলায় ৩৭ কৃষক নেতার নাম রয়েছে। ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি ডাকাতিসহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে মেধা পাটেকর, যোগেন্দ্র যাদবের নামও। 
২. কৃষক নেতারা পঞ্জাবী অভিনেতা দীপ সিধুকে হিংসা ও সংঘর্ষের জন্য দায়ি করেছেন। এক কৃষক নেতা স্পষ্ট করে বলেছেন দীপ সিধু হল সরকারের প্রতিনিধি। এই ষড়যন্ত্র আমাদের বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 
৩. গতকাল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ, স্বরাষ্ট্র সচিব সহ একাধিক কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন। তারপরই আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা সামানায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 
৪. গতকালের পর থেকে এখনও সিংহু, গাজিপুর, চিল্লা সহ একাধিকা দিল্লির একাধিক সীমানা এলাকায় বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। 
৫. গতকালের সংঘর্ষে দিল্লি পুলিশের ৮৩ জন কর্মী আহত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এক পুলিশ কর্মীর অবস্থা সংকট জনক। তার চিকিৎসা চলছে এলএনজেপি হাসপাতালে। 
৬. গতকাল সংঘর্ষে এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে ট্র্যাক্টর দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে আন্দোলনকারীর। সিসিটিভির ফুটেও ধরা পড়েছিল ওই ছবি। যাখানে দেখা গিয়েছিল ট্র্যাক্টরটি তীব্র গতিতে ছুটে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাল্টি খেয়ে পড়ে যায়।  
৭. পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এদিনই সাধারণতন্ত্র দিসবে দিল্লির রাজপথে হিংসার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন এই হামলার ঘটনায় যদি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য জড়িয়ে থাকে তাহলে সেটি খুবই লজ্জাজনক। 
৮. এদিন আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাষ্ট্রিয় কিষাণ মজদুর সংঘর্ষের নেতা ভিএম সিং।  আন্দোলন প্রত্যাহার করে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন। 
৯. ভিএম সিং-এর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাগিপুর বর্ডারে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারী কৃষকরা। 
১০. ভারতীয় কিষাণ ইউনিয় আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর চিল্লা বর্ডারে বেশ কিছু কৃষককে তাঁদের তাঁবু খুলে ঘরে ফেরার তোড়জোড় করতে দেখা যায়।