সংক্ষিপ্ত

  • সৈন্যদের মধ্যে সম্মান ও বিশ্বাস প্রদর্শনের একটি বিশেষ ভঙ্গি স্যালুট
  • স্যালুটের মাধ্যমে একে অপরের উর্দির প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করা হয়ে থাকে
  • জানেন কি ,সেনা, নৌ-সেনা ও বায়ুসেনার মধ্যে এই স্যালুট করার এক বিশেষ ধরণ রয়েছে
  • কেন আলাদা এই ধরণ,জেনে নিন

সৈন্যদের মধ্যে সম্মান ও বিশ্বাস প্রদর্শনের একটি বিশেষ ভঙ্গি হল স্যালুট। ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে এই স্যালুটের মাধ্যমে একে অপরের উর্দির প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করে থাকে। কিন্তু জানেন কি ভারতীয় তিন সেনাবাহিনী তথা সেনা, নৌ-সেনা ও বায়ুসেনার মধ্যে এই স্যালুট করার এক বিশেষ ধরণ রয়েছে। জেনে নিন এই তিন সেনাবাহিনীর স্যালুট করার মধ্যে কী পার্থক্য রয়েছে।

১) ভারতীয় সেনা (সামনের মানুষটির দিকে লক্ষ্য করে হাতের তালুটি খোলা)- ভারতীয় সেনার স্যালুট করার পদ্ধতিতে দেখা যায় যে, হাতের তালুটি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির দিকে খোলা থাকে। সেইসঙ্গে তাঁদের হাতের আঙুলগুলি একটি অন্যটির সঙ্গে জুড়ে থাকে এবং মধ্যমাটি প্রায় ভ্রু-কে স্পর্শ করে থাকে। এটি যে কেবল মাত্র আস্থা প্রদর্শন অর্থে ব্যবহৃত হয় তা নয়, বরং এটি প্রমাণ করে যে অভিবাদনকারীর কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নেই, এবং এটি প্রমাণ করে যে, অভিবাদনকারীর কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নেই।  

২) নৌ সেনা (হাতের তালুটি ভূমির দিকে লক্ষ্য করে থাকে) -  ভারতের নৌসেনার স্যালুট করার পদ্ধতিতে দেখা যায় যে, হাতের তালুটি মাটির দিকে খোলা থাকে। মাটি থেকে হাত ৯০ ডিগ্রি কৌণিকভাবে রাখা হয়। কিন্তু জানেন কী ভাপতীয় নৌসেনার এইভাবে স্যাসলুট করার পিছনে একটা অদ্ভুত কারণ রয়েছে। জাহাজে থাকার সময়ে কাজ করতে গিয়ে নৌসেনার হাতে তেল বা গ্রিস জাতীয় জিনিয় লেগে গিয়ে হাত ময়লা হয়ে যেতে পারে। সেই ময়লা হাত লুকোতেই এই বিশেষ পদ্ধতিতে স্যালুট করে নৌসেনারা। 

৩) ভারতীয় বায়ু সেনা (ভূমি থেকে ৪৫ ডিগ্রি কোণে)- আগে ভারতীয় বায়ুসেনার স্যালুট একেবারে ভারতীয় সেনার মতোই ছিল। তবে, ২০০৬ সালের মার্চ মাস থেকে ভারতীয় বায়ুসেনা একটি নতুন ধরণের স্যালুট করার পদ্ধতি চালু করে। এই নয়া পদ্ধতি অনুসারে ভারতীয় বায়ুসেনার সদস্যরা মাটির ৪৫ ডিগ্রি কৌণিকভাবে হাতটি রাখে। এটি সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীর স্যালুটের পদ্ধতির একটা মাঝামাঝি ধরণ।