সংক্ষিপ্ত
রাজধানী সিমলার সামারহিলের শিব বাউদি মন্দিরে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১৬ জনে পৌঁছেছে। ইন্দোরার জলমগ্ন এলাকা থেকে ৫৪ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও পুলিশকর্মীরা।
শুক্রবার হিমাচল প্রদেশের সিমলা, মান্ডি এবং হামিরপুরে আরও ৬টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। রাজধানী সিমলার সামারহিল শিব মন্দিরে ভূমিধসে চাপা পড়ে থাকা আরও দুটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৬। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন পাঁচজন। শুক্রবার কাংড়ার হরিপুরে নদৌন মহকুমার রেল গ্রামে বিয়াস নদীতে ডুবে যাওয়া এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মহিলার নাম শারদা কুমারী (৫০) তিনি রামশ্রাবণ নামের এক ব্যক্তির স্ত্রী ও রেল গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে, মহকুমা সুন্দরনগরে অবস্থিত বিএসএল খালে এক যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। দেহ শনাক্ত করা যায়নি। মৃতদেহটি আশেপাশের এলাকার যুবকের নাকি কুল্লু জেলার বন্যায় ভেসে গিয়ে এখানে পৌঁছেছে, তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে। একই সময়ে, সাম্বল পান্ডোহে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নিখোঁজ দুই অভিবাসী শ্রমিকের মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার, রাজ্যে ৬৫টি বাড়ি ধসে পড়েছে এবং ২৭১টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যে ৮৭৫টি রাস্তা এবং ১২৩৫টি জল প্রকল্প বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে দেড় হাজার ট্রান্সফরমার বন্ধ থাকায় অনেক গ্রামে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
রাজধানী সিমলার সামারহিলের শিব বাউদি মন্দিরে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ১৬ জনে পৌঁছেছে। ইন্দোরার জলমগ্ন এলাকা থেকে ৫৪ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও পুলিশকর্মীরা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখনও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। অন্যদিকে, কাংড়া জেলার ইন্দোরায় চলমান উদ্ধার অভিযান শুক্রবারও অব্যাহত রয়েছে। এই সময়ে, এনডিআরএফ দল নৌকায় করে বেলা ইন্দোরার জলমগ্ন এলাকা থেকে ৫৪ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছিল।
এদিকে জানা দিয়েছে ২৪ জুন থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত, হিমাচল প্রদেশে বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪২ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। লাহৌল-স্পিতি জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। বিলাসপুরে ৭১ শতাংশ, চাম্বা ১৭, হামিরপুর ৫৬, কাংড়া ২০, কিন্নর ৫৫, কুল্লু ৭৯, মান্ডি ৬৪, সিমলা ১০২, সিরমাউরে ৭২, সোলান ৯৯ এবং উনাতে ১২ শতাংশ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, ৫২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি স্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। এ বছর ২৪ জুন থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ৭৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অতীতে অতিবৃষ্টির কারণে অনেক রেকর্ডও ভেঙেছে।
পূর্ত দফতরের সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে ২৬৫৬.৪৩ কোটি টাকা
পূর্ত দফতর সর্বাধিক ২৬৫৬.৪৩ কোটি, জলশক্তি বিভাগ ১৮৪২.৬০ কোটি, বিদ্যুৎ বোর্ড ১৫০৫.৭৩ কোটি, উদ্যানপালন ১৪৪.৮৮ কোটি, নগর উন্নয়ন ৮৮.৮২ কোটি, কৃষি ২৫৬.৮৭ কোটি, গ্রামীণ উন্নয়ন ৩৬৯.৫৩ কোটি, স্বাস্থ্য বিভাগ ৪১৮ কোটি, শিক্ষা বিভাগ ৪১১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।