সংক্ষিপ্ত
- জেএনইউ-তে হামলা চালিয়েছে হিন্দু রক্ষা দল
- ভিডিও বার্তায় দাবি সংগঠনের নেতার
- দেশবিরোধীদের শিক্ষা দিতেই হামলা, দাবি ভিডিও বার্তায়
- ভবিষ্যতেও হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি
অভিযোগ উঠেছিল এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত জেএনইউ-তে হামলার দায় নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করল কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু রক্ষা দল। সোমবার রাতে একটি ভিডিও বার্তায় এই দাবি করেছেন সংগঠনের নেতা পিঙ্কি চৌধুরী। তাঁর দাবি, দেশদ্রোহী এবং হিন্দুত্ব বিরোধী পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের সবক শেখাতেই এই হামলা চালিয়েছে তারা।
ভিডিও বার্তায় ওই হিন্দুত্ববাদী নেতা বলেন, 'জেএনইউ বামপন্থার আখড়া হয়ে উঠেছে। ওরা আমাদের ধর্ম এবং দেশকে গালিগালাজ করে। এসব সহ্য করা হবে না।'
আরও পড়ুন- বিকেলে ডাকা হলেও আসেনি পুলিশ, মাথায় ১৬ টা সেলাই নিয়ে জানালেন ঐশী
আরও পড়ুন- জেএনইউ গেটের সামনে দিল্লি পুলিশ, তা সত্ত্বেও কী করে হামলা-প্রশ্ন কংগ্রেসের
শুধু তাই নয়, একধাপ এগিয়ে ওই হিন্দুত্ববাদী নেতার হুঁশিয়ারি, জেএনইউ-এর মতো যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই ধরনের 'দেশবিরোধী' কার্যকলাপ চলছে, সেখানেও তাঁরা একইভাবে হামলা চালাবেন। তাই আগে থেকেই ওই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শুধরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন পিঙ্কি। ভিডিও বার্তায় তাঁর হুঁশিয়ারি, 'ভবিষ্যতেও আমরা এই ধরনের হামলা চালাব। আমাদের দেশ এবং ধর্মকে অসম্মান করা হলে, আমরা কি চুপ করে বসে থাকব?'
২০১৪ সালে কৌসম্বি-তে আম আদমি পার্টি-র কার্যালায়ে হামলা চালিয়ে এই হিন্দু রক্ষা দল-ই শিরোনামে এসেছিল। ওই ঘটনায় সংগঠনের নেতা ভূপেন্দর কুমারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
জেএনইউ-তে হামলার পর প্রায় দেড় দিন কেটে গেলেও পুলিশ কেন একজন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করতে পারল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। হিন্দু রক্ষা দল ভিডিও প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশের কাজটা হয়তো অনেকটাই সহজ করে দিল। এখন দেখার এই সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে কি না।