সংক্ষিপ্ত

  • আহত পুলিশ কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে অমিত শাহ 
  • কথা বলেন পুলিশকর্মী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে 
  • বললেন সাহসের জন্য গর্বিত তিনি 
  • সঙ্গে ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা 
     


দিল্লির কিষাণ প্যারেড থেকে ছড়িয়ে পড়া হিংসায় জখম পুলিশ কর্মীদের দেখতে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে তাঁরই ওপর। তিনি হাসপাতালে গিয়ে জখম পুলিশ কর্মীদের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন আহত দিল্লি পুলিশের কর্মীদের সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। পুলিশ কর্মীদের সাহস ও সাহসিকতার জন্য গর্বিত বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এদিন তিনি হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন। 

হাসপাতাল পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা ও দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব। নতুন তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ২৬ নভেম্বর থেকেই দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকরা। প্রায় দুমাস ধরে আন্দোলন চললেও তা ছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিসবের কিষাণ প্যারেড ঘিরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকা। কৃষক পুলিশ সংঘর্ষে প্রায় ৪০০ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা গুরুতর। বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছিলেন গুরুতর জখম শুশ্রুত ট্রমা সেন্টার ও তীর্থ রাম হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন অমিত শাহ। সেই মতই দিল্লির হাসপতালে জখম পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন অমিত শাহ। 

সীমান্ত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে বিশ্বে প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, চিন ইস্যুতে মন্তব্য ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর ..

করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতের সাফল্য বিশ্বকে প্রভাবিত করবে, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ...

২৬ জানুয়ারি সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল আন্দোলনকারী কৃষকদের একাংশ। তাঁরা নির্ধারিত সময়ের আগেই প্যারেড শুরু করতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে দিল্লি পুলিশের অভিযোগ নির্ধারিত রুট পরিবর্তন করে আন্দোলনকারী কৃষকদের একটি অংশ লালকেল্লা চলে যায়। সেখানে রীতিমত তাণ্ডব চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমত বেগ পেতে হয় দিল্লি পুলিশকে। তবে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে দিল্লির পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশ রীতিমত সংযমেপ পরিচয় দিয়েছিল। তবে আইনভঙ্গকারীদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। সেইমত আন্দোলনকারী কৃষক নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।