সংক্ষিপ্ত

  • করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সফল ভারত 
  • ভারতের এই সাফল্য বিশ্বকে প্রভাবিত করবে 
  • ভারতের পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে আশাঙ্কা করা হয়েছিল 
  • কিন্তু এক্যবদ্ধ লড়াইয়ে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে 

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে ভারত সকল প্রতিকূলতাকে পরাজিত করেছে।  ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের দাভোস সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন ভারতের এই সফল্য গোটি বিশ্বের  সাফল্যকে প্রভাবিত করবে। একই সঙ্গে বিশ্বের সমস্ত দেশে ভারতীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে ভারত সক্ষম বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন করোনা-কালেই ভারত আত্মনির্ভর দেশ গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে। 


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন গত বছল ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে অনেক বিশেষজ্ঞই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন করোনাভাইরাসের কারণে ভারতই হবে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সুনামির মত বৃদ্ধি পাবে। দেশে ২০ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দেশের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে সেই বিপদ এড়িয়ে যাওয়া সম্বভ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ ভারত সর্বাধিক জীবন বাঁচাতে সফল হওয়া দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব জনসংখ্যার ১৮ শতাংশই এই দেশের বাসিন্দা।কিন্তু করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে দেশ। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, ভারতে ইতিনধ্য়েই শুরু হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা কর্মসূচি। মাত্র ১২ দিনে ২.৩ মিলিয়ন স্বাস্থ্য কর্মীকে  টিকা দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি দেশের বৃদ্ধ ও অসুস্থদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। অন্যান্য দেশগুলিতেও ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজ শুরু করেছে ভারত। এখনও পর্যন্তে দেশের হাতে একটি মাত্র দেশীয় ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী দিনে আরও বেশ কয়েকটি টিকা হাতে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন। এই অনুষ্ঠানে ৪০০ টিরও বেশি বিশ্বের প্রথমসারির শিল্পপতি অংশ গ্রহণ করেছেন। উপস্থিত রয়েছেন চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলে, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনসহ বিশিষ্টরা।