সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে
এরই মধ্যে স্বস্তির বার্তা পুনের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার
অক্টোবরের মধ্যেই ভারতের বাজারে আসবে প্রতিষেধ
১০০০ টাকায় মিলবে সেই প্রতিষেধক 
 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে। বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এদেশেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তির আশা জাগিয়েছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, অক্টোবরের আগেই বাজারে আসতে চলছে করোনাভাইরাসের ওষুধ। আর সেই ওষুধের দাম হবে প্রায় ১ হাজার টাকা। সেরাম ইনন্টিটিউট বিশ্বের প্রতিষেধক উৎপাদনকারী সংস্থা গুলির মধ্যে এক অন্যতম একটি সংস্থা। 

সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এর আগে কখনও কোনও প্রতিষেধকের এত চাহিদা ছিল না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১১৫টিরও বেশি সংস্থা করোনাভাইরাসের ওষুধ ও প্রতিষেধকের খোঁজে গবেষণা করছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাত্র ৭ থেকে ৮ টি সংস্থাকে অগ্রণী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

সেরান ইনন্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী আদার পুনেওয়ালা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বাজারে আনতে সফল হবে ভারতীয়রা। কারণ এই সংস্থা একটি বিশাল সংস্থা। এখানে ২০টি আলাদা আলাদা প্রতিষেধকের ১.৫ বিলিয়ন ডোজ তৈরি করতে সক্ষম। যা ১৬৫ দেশে রফতানি করা হয়। ইতিমধ্যেই এই সংস্থা চারটি এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধেছে, যারা করোনার ওষুধের খোঁজ চালাচ্ছে। 

অক্সোফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে চলেছে তা নিয়ে রীতিমত আশাবাদী ভারত। কারণ সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ক্লিনিক্যাল স্ট্যাডিজের দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। প্রতিষেধকটি প্রাপ্তবয়স্কদের কতটা নিরাপত্তা দিতে পারে, সেই বিষয়গুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই অধ্যায়ন শুরু করা হয়েছে। আগেই বাঁদরের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন গবেষকরা। তবুও তাঁরা আশা ছাড়তে সম্প্রতি অক্সোফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুত সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ওষুধ প্রস্তুত ও তার প্রচারের জন্য। মার্কিন সরকারও আর্থিকভাবে সাহায্য করছে। 

আমেরিকার আরও একটি সংস্থা করোনাভাইরাসের ওষুধের খোঁজ রয়েছে। সেই সংস্থার সঙ্গেও প্রাথমিকভাবে কথাবার্তা বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুনের সংস্থাটি।ট্রায়াল যদি কার্যকর হয় তাহলে ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে ১০০ কোটিরও বেশি ডোজ তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন আদার পুনেওয়ালা। তবে তিনি যথেষ্টই সতর্ক রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, একটি প্রতিষেধক তৈরি করতে কমপক্ষে ২ বছর সময় লাগে। তবে শুধু এই সংস্থাই নয় ভারতের একাধিক ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাও নিজেদের মত করে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ওষুধ অথবা প্রতিষেধকের খোঁজ চালাচ্ছে।