সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা। সম্প্রতি বাংলাদেশে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে ত্রিপুরায় কোনো হোটেল পরিষেবা পাবেন না বাংলাদেশি নাগরিকরা। ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এ তথ্য জানিয়েছে।
সোমবার সেখানে বৈঠক করেন হোটেল মালিকরা। একই বৈঠক থেকে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হোটেল মালিকরা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকরা এ রাজ্যে এলে আমরা সম্মান করি। তাদের সেবা অনবদ্য। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেদেশের একটি অংশ ভারতীয় পতাকার অবমাননা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করছে। যার প্রতিবাদে ত্রিপুরার হোটেল মালিকরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এখন থেকে কোনো বাংলাদেশি ত্রিপুরায় হোটেল পরিষেবা পাবেন না।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেছেন, শনিবার বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিশ্বরোডে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বাসে কথিত হামলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এবং যারা দেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছেন, অন্যথায় ভারতীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নিন। সঠিক সময়। এছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যের হোটেল মালিকদের নেওয়া এই সিন্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোসট্ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বিভিন্ন কাজের জন্য ভারতে আসেন। ভাষার মিলের কারণে সেখানকার অধিকাংশ মানুষ ভারতের ত্রিপুরা ও কলকাতায় আসতে পছন্দ করে। অনেক বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য এ রাজ্যে আসছেন। একইভাবে বাংলাদেশিদের অনেক আত্মীয়-স্বজন ত্রিপুরায় থাকেন। কেউ একজন তাদের সাথে দেখা করতে এসেছিল। কেউ এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি সেখানকার একাংশের লোকজনের কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বড় সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা।