সংক্ষিপ্ত

  • সোমবার রাত ২.১৫  মিনিটে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-২
  • সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে চাঁদের মাটিতে নামবে চন্দ্রযান-২
  • এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারেন আপনিও 
  • জেনে নিন কীভাবে দেখবেন

এদেশে মহাকাশ অভিযানে  প্রথম সবথেকে বড় সাফল্য এনে দিয়েছিল চন্দ্রযান-১।  আর সেই অভিযানের সফলতাই দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান সম্পর্কে উৎসাহিত করেছিল। প্রসঙ্গত তারপর বেশ কয়েক মাস ধরে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র তরফ থেকে দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য না করা হলেও, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের আগের দিন ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়েছিলেন যে, জুলাই মাসের ৯ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যেই চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপন করা হবে। 

আর এবার সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৫ জুলাই তারিখে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদে অভিযান চালাবে চন্দ্রযান-২। ইসরোর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই চন্দ্রযান-২-এর উৎক্ষেপণ নিয়ে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস স্টেশনে ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। জানা গিয়েছে আগামী সোমবার রাত ২.১৫  মিনিটে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-২। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে চাঁদের মাটিতে নামবে চন্দ্রযান-২। 

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই চন্দ্রযান-২-এর উৎক্ষেপণ যদি সফল হয়, তাহলে মার্কিন যুক্ররাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের পর ভারত হবে চতুর্থ দেশ যারা চাঁদের মাটিতে মহাকাশযান পাঠিয়েছে। এবার জেনে নিন কীভাবে  এই অভিযানের সাক্ষী থাকতে পারবেন আপনিও। সোমবার রাত ২.১৫  মিনিটে চন্দ্রযান উৎক্ষেপনের সব ছবি ধরা পড়বে সরাসরি দূরদর্শনের পর্দায়। সেই সঙ্গে কন্ট্রোলরুমের ছবিও দেখতে পাবেন। এর পাশাপাশি দূরদর্শনের ইউটিউব চ্যানেলেও লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে পাবেন দর্শকরা। পাশাপাশি ইসরোর ফেসবুক পেজ থেকেও চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণের লাইভ স্ট্রিমিং দেখানো হবে। 

প্রসঙ্গত এই চন্দ্রযান- ২-এর অরবিটার ল্যান্ডার এবং রোভার-এর নকশা তৈরি করা হয়েছে ভারতে এবং তা নির্মাণও করা হয়েছে ভারতেই। মহাকাশযানটির ওজন প্রায় ৩.৮ টন এবং এটি প্রায় ১.৪ টন ল্যান্ডার বিক্রম বহন করতে পারে। যা কিনা আবার ২৭ কিলোগ্রাম ওজনের রোভার প্রজ্ঞানকে বহন করে যা পৌঁছে দেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে, যা এখনও পর্যন্ত অদেখা।  সৌর চালিত এই রোভারটি ৫০০ মিটার পর্যন্ত সফর করতে পারে, আরও জানা গিয়েছে এই অভিযানে চাঁদে জলের সন্ধান চালানো হবে এবং সৌরজগতের জীবাশ্মেরও সন্ধান করবে এই মহাকাশযান।