সংক্ষিপ্ত

  •  একরাতের মধ্যে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অদল বদল 
  • রাতারাতি সমর্থন জোগাড় করে মুখ্যমন্ত্রী হলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ 
  • উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন  এনসিপির অজিত পাওয়ার 
  • অজিত পাওয়ার দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন, মন্তব্য শরদ পাওয়ারের 

এক মাসের মধ্যে  মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক হিসেব নিকেশ সব বদলে গিল। শুক্রবার রাতে এনসিপির সঙ্গে  শিবসেনার বৈঠকের পর সকলে  উদ্ধব ঠাকরেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে চেয়েছিলেন।  কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই সব খেলা পালটে গেল।  শনিবার সকালে মহারাষ্ট্রে দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর জন্য শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।  এক রাতের মধ্যে নাটকীয় পরিবর্তনে অবাক হয়েছেন অনেকেই। 


মহারাষ্ট্রের মহানাটকের সময় সারণী 

রাত ২.৩০- রাজভবনের সচিবের শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু
 
ভোর ৫.৩০- রাজভবনে পৌঁছে গেলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও অজিত পাওয়ার 

ভোর ৫.৪৭- মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার 

সকাল ৮.০৫- দ্বিতীয়বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ দেবেন্দ্র ফড়নবীশের 

সকাল ১১.৩০- দিল্লি যাওয়া বাতিল করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল 

দুপুর ১২.৩০- শিবসেনার সঙ্গে এনসিপির সাংবাদিক বৈঠক 


মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এনসিপি প্রধানের ভাইপো অজিত পাওয়ার শপথ নেওয়ার পরে অবাক হয়েছেন অনেকেই।  সাড়ে ১২টা নাগাদ শিবসেনা ও এমসিপি বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, সরকার গঠনের জন্য জোটের কাছে  ১৭০ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল। কিন্তু আমাদের পাশ কাটিয়ে এনসিপির বেশ কয়েকজন বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন করেছে। ওই সাংসদরা কখনই  এসসিপিকে  চিত্রিত করে না। অজিত পাওয়ার সম্পূর্ণ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।  এনসিপির ১০ থেকে ১১ জন বিধায়ক বিজেপিকে সমর্থন করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সকলের সঙ্গেই আমাদের যোগাযোগ ছিল। 


শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরে মন্তব্য করেন,  আমরা যা করেছি, দিনের আলোয় করেছি। সকলের সামনে জোট গঠনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিজেপি যেটা করেছে, রাতের অন্ধকারে করেছে। গোপনে করেছে। আমরা হরিয়ানাতে দেখেছেন, এর উদাহরণ আপনারা  বিহারে দেখেছেন। বিজেপি ক্ষমতায় আসার জন্য সব কিছু করতে পারে। সমস্ত আইন ভাঙতে পারে। তাই দল ভাঙিয়ে বিজেপি সরকার গঠনের চেষ্টা করছে।  বিজেপি মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রের ওপর সার্জিক্যাল অ্যাটাক করেছে।