সংক্ষিপ্ত
ভগবান শ্রীরামকে কেমন দেখতে ছিল। সেই জল্পনার অবসান করল আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। রামের ছবি ভাইরাল হল।
ভগবান শ্রী রামকে কেমন দেখতে ছিল? হিন্দুদের কাছে এই নিয়ে জল্পনা বহু দিনের। বিষ্ণর অবতার শ্রীরাম। হিন্দুদের প্রাচীণ মহাকাব্যের পাতা থেকে রামকে জীবন্ত করে তুল আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স(AI)। এই রামচন্দ্রকে দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। টুইটার ব্যবহারকার জিতেন্দ্র নগর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ছবিটি শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভগবান শ্রী রামের মক সুদর্শন এই বিশ্বে কেউ জন্মগ্রহণ করেননি। তিনি আরও বলেছেন, বাল্মিকীর রামায়ণ, রামচরিত মানস ও অন্যান্যদের লেখা থেকে রামচন্দ্রের যে রূপ , শরীরিক কাঠামোর কথা জানতে পারা যায় তাই দিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবি।
আপনিও দেখুন সেই ছবিঃ
কিছু মানুষ ছবিটি পছন্দ করেছেন। তবে অনেকেই জানিয়েছেন মহাকাব্যে রামের যে বর্ণনা তারা পেয়েছেন তার সঙ্গে ছবির কোনও মিল নেই। বাল্মিকীর রামায়নে রামের মুখ ছিল উজ্জ্বল, ভদ্র, কোমল আর সুন্দর। রামের চেহারার সঙ্গে চন্দ্র কিরণের মিল তিনি খুঁজে পেয়েছেন। রামের চুল ছিল লম্বা , ঘন আর কালো। ঠোঁট দুটি ছিল সূর্যের মত লাল। আজানু লম্বা হাট। আবার রামচরিত মানসের রামের গায়ের রঙ ছিল নীল মেঘের মত। সেখানে রাম গয়না পরতেন। আর কপালে তিলক কাটতেন।
যাইহোক ছবিটি তৈরি হয়েছে জেনারেটিভ এইআই ইমেজ টুল দিয়ে। এটি এরটি প্রযুক্তি । যা যে কোনও মানুষের রূপের বর্ণনা দিলে কোনও মানুষের হস্তভক্ষেপ ছাড়াই ছবি তৈরি করে দেয়। এই প্রযুক্তিতে গান ও ভিডিও করাও সম্ভব। এটি বড় ডেটাবেশগুলি থেকে বিশ্লেষণ করার জন্য ও শেখার জন্য মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদ ব্যবহার করে। তারপরে এই জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন সামগ্রী তৈরি করতে পারে।
জেনারেটিভ এআইএর সম্ভাব্য প্রয়োগগুলি বিশাল ও সুদূরপ্রসারী। বিনোদন, শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা যে কোনও ক্ষেত্রে রূপান্তর সম্ভব। প্রযুক্তির বিকাশ অব্যাহত থাকায় কী করে এটির আরও বিকাশ হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।জেনারেটিভ এআই-এর সম্ভাব্য অপব্যবহারের বিষয়েও উদ্বেগ রয়েছে, বিশেষ করে ডিপফেক এবং অন্যান্য ধরণের সিন্থেটিক মিডিয়ার প্রসঙ্গে। প্রযুক্তি আরও উন্নত হওয়ার সাথে সাথে বাস্তব এবং নকল বিষয়বস্তুর মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে, গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক ও সামাজিক প্রশ্ন উত্থাপন করে।