সংক্ষিপ্ত
গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ টি ফ্লাইট ভারতে পৌঁছেছে। যার মধ্যে প্রায় ২৯০০ ভারতীয়কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপারেশন গঙ্গার অধীনে প্রায় ১৩,৩০০ ভারতীয় এখনও পর্যন্ত ৬৩টি ফ্লাইট ভারতে পৌঁছেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১১ দিন অতিক্রান্ত। এদিকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, “ইউক্রেনের সুমিতে ভারতীয় ছাত্রদের নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ করিডোর তৈরি করার জন্য রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সরকারকে লাগাতার চাপ দেওয়া হচ্ছে।”
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা সমস্ত ভারতীয় ছাত্রদের ইউক্রেনে সতর্ক ও নিরাপদ থাকতে বলেছি। সকল শিক্ষার্থীকে নিরাপদ স্থানে থাকতে হবে এবং কেউ অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি নেবেন না। বিদেশ মন্ত্রক এবং আমাদের দূতাবাস শিক্ষার্থীদের সাথে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছে।” শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এখন লক্ষ্য, সুমি থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়া। খারকিভে আর কোনও ভারতীয় আটকে নেই। এখন আমাদের পুরো নজর রয়েছে সুমির উপর। কিন্তু সেখানে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল চলমান যুদ্ধ। একইসঙ্গে যানবাহনেরও অভাব রয়েছে। আটকদের ফিরিয়ে আনতে গেলে সব চেয়ে ভাল বিকল্প হল যুদ্ধ বিরতি। সেটা কাজে লাগাতে হবে’’।
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
এদিন তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ টি ফ্লাইট ভারতে পৌঁছেছে। যার মধ্যে প্রায় ২৯০০ ভারতীয়কে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপারেশন গঙ্গার অধীনে প্রায় ১৩,৩০০ ভারতীয় এখনও পর্যন্ত ৬৩টি ফ্লাইট ভারতে পৌঁছেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩টি ফ্লাইটের ভারতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এখন আমরা দেখব ইউক্রেনে আরও কত ভারতীয় আছে। দূতাবাস এমন লোকদের সাথে যোগাযোগ করবে যারা সেখানে থাকতে পারে কিন্তু এখনও বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এখনও স্বাভাবিক হয়নি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতি। এদিকে এদিকে মধ্যেই যুদ্ধ সঙ্কটের মধ্যে পড়ে প্রাণ গিয়েছে একাধিক ভারতীয় পড়ুয়ার। তারপর থেকেই এদেশেও একটানা বেড়েছে উদ্বেগ। ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে জোরদার প্রস্তুতিও অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই কারণেই চালু হয়েছে মিশন গঙ্গা। ইতিমধ্যেই যুদ্ধ যন্ত্রণা কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন বহু পড়ুয়া। এদিকে তারমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের এই বিবৃতি গোটা দেশকেই যে নতুন করে স্বস্তি দেবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন দেখার কত দ্রুত সে দেশ থেকে সমস্ত ভারতীয়কে বের করে আনা সম্ভবপর হয়।