সংক্ষিপ্ত
- রাফাল মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ক্লিন চিট দিয়েছে মোদী সরকার-কে
- স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবির এই রায় নিয়ে উচ্ছ্বসিত
- কিন্তু, রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস নতুন করে রাফাল চুক্তি নিয়ে তদন্তের দাবি জানাল
- তাদের দাবি আদালতরে রায় তদন্তের পথ সুগম করেছে
রাফাল মামলয়া বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট ক্লিন চিট দিয়েছে সরকার-কে। কিন্তু, তারপরেও রাহুল গান্ধী তথা কংগ্রেসকে থামানো যাচ্ছে না। এদিন রাহুল এক টুইটে দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ রাপাল তদন্তের জন্য একটি বড় দরজা খুলে দিয়েছেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে হবে। এর জন্য এক যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের ডাকও দিযেছেন তিনি।
কীসের ভিত্তিতে রাহুলের টুইট?
ফরাসি সংস্থা ডাসল্ট এভিয়েশন-এর থেকে ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে মোদী সরকার অপরাধমূলক রাস্তা নিয়েছিল। তাই সরকারে বিরুদ্ধে সিবিআই-এর তদন্ত দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে শীর্ষ আদালত জানায় রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহের কোনও সুযোগ নেই। এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে আরও একটি মামলা করা হয়েছিল। তারই রায় দেওয়া হয় এদিন। আরও একবার আদালত আবেদন প্রত্যাখ্যান করে মোদী সরকার-কে ক্লিন চিট দিয়েছে। এর পরেই রাহুল গান্ধী এই টুইট করেছেন।
কী রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট?
এদিনের রায় শোনান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কল এবং বিচারপতি কে এম জোসেফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। আদালত সাফ জানায়, আগের রায়টি পুনর্বিবেচনার জন্য যে আবেদনপত্রগুলি জমা পড়েছিল, তার কোনওটিতেই এমন কিছু নেই যাতে তাঁরা রায় পুনর্বিবেচনার কথা ভাবতে পারেন। রায় পাঠ করে বিচারপতি কল বলেন, তাঁদের সিদ্ধান্ত হল, এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের আদেশ দেওয়ায় কোনও মানে নেই।
রায়ের মধ্যে ফাঁক
তবে এই রায়ের মধ্যে কিছুটা ফাঁক রয়েছে। বাকি দুই বিচারকের থেকে কিছুটা ভিন্ন মত দিয়েছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। মত পার্থক্যের বিষয়টি রায়ের সঙ্গে আলাদা করে জুড়েও দিয়েছেন। তিনি জানান, বিচারপতি কলের লেখা মূল রায়টির সঙ্গে তিনি একমত হলেও এই রায়ের কয়েকটি বিষয়ে মূল রায়ের থেকে তাঁর মত আলাদা। সেই সব ক্ষেত্রে তিনি তাঁর নিজস্ব যুক্তি দিয়েছেন।
কী বক্তব্য বিচারপতি জোসেফের?
ওই অংশে বিচারপতি কে এম জোসেফ লিখেছেন, আবেদনের ভিত্তিতেই এই মামলার বিচার এগিয়েছে। তাতে মামলাটি ধোপে টেকেনি, কিন্তু আসল কথা হল এটা একটা গুরুতর অপরাধের বিষয় প্রকাশ করতে পারে। তাই ১৭-র ক ধারা অনুযায়ী তাঁর মতে আদালতের অবশ্যই একটি এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল।
ফাঁক ধরে নিলেন রাহুল
এই ফাঁকটুকু নিয়েই রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, বিচারপতি জোসেফ রাফাল কেলেঙ্কারির তদন্তের এক বিশাল দরজা খুলে দিয়েছেন। সঙ্গে বিচারপতি জোসেফের ব্যক্তিগত রায়ের অংশটুকুও জুড়ে দিয়েছেন। যেখানে লাল কালি দিয়ে দাগিয়ে রাহুল নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি সাজিয়েছেন। রাহুল দাবি করেছেন, রাফাল নিয়ে বিজেপি মিথ্যা বলছে।
কংগ্রেসের দাবি
পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছিলেন, এদিনের রায় নিয়ে নাচানাচি বন্ধ করে বিজেপির উচিত তদন্তের দিকে নজর দেওয়া। কারণ আদালতের সিদ্ধান্ত রাফাল চুক্তির তদন্তের পথ সুগম করেছে। তিনিও অভিযোগ করেন, রাফাল নিয়ে বিজেপি জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।