সংক্ষিপ্ত
- করোনা আবহে দেশে বাড়ছে গার্হস্থ্য হিংসা
- নৃশংস গার্হস্থ্য হিংসার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায়
- সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইন্দোরের এক গৃহবধূ
- সেই পোস্ট ঘিরে এখন শোরগোল নেটিজেনদের মধ্যে
করোনা সংক্রমণের মধ্যে দেশে চলা লকডাউনের সময় বেড়েছে গার্হস্থ্য হিংসা। বাড়ছে মহিলাদের উপর অপরাধ। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনি চাঞ্চল্যকর খবর। এমনি নৃশংস গার্হস্থ্য হিংসার ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইন্দোরের এক গৃহবধূ।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ সম্প্রতি ফেসবুকে নিজের রক্তাক্ত মুখের ছবি পোস্ট করেছেন। জানিয়েছেন স্বামী ব্যাট দিয়ে মেরে এমন অবস্থা করেছে তাঁর। মহিলা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, অর্থনৈতিক ও শারীরিক ভাবে তিনি স্বামীর হাতে নিয়মিত অত্যাচারিত হচ্ছেন। এই বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। বরং স্বামীর অত্যাচার বেরেছে। এবার ব্যাট নিয়ে তাঁকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছেন স্বামী। তাঁর সন্তানদের সামনেই এই মারধর করা হয়েছে। পুলিশের কাছে এফআইআর করেও কোনও ফল হয়নি। নেটিজেনদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ওই মহিলা।
গত ৫ বছর ধরে তাঁর স্বামী এভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওই মহিলার। নিগৃহীতার স্বামী একসময় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা যাচ্ছে। মহিলার দাবি অভিযুক্ত জিনেশ জইন তাঁকে মারধর করে মুম্বইতে গিয়ে লুকিয়ে আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন ওই গৃহবধূ।
আরও পড়ুন: পরিকাঠামো ছাড়াই অনলাইনে পাঠ, রেডিও মারফত ক্লাস নেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু
ইতিমধ্যে ইন্দোরের ওই গৃহবধূর স্বামীর হাতে নির্যাতনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। এনেকেই এগিয়ে এসেছেন তাঁর পাশে দাঁড়াতে। খবর গিয়েছে মহিলা কমিশনের কাছেও।
সম্প্রতি দিল্লির ৩২ বছরের এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে মহিলা কমিশন। জানা গিয়েছে স্বামীর হাতে নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন ওই মহিলা। এমনকি গত ৬ মাস ধরে একটি ঘরে তাঁকে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিল স্বামী। অটোচলাক স্বামী যে তাঁকে নিয়মিত মারধর করতো সেকথা জানিয়েছেন মহিলার সন্তানরাও।
এ দেশে প্রতি বছর গার্হস্থ্য হিংসার বলি হন সাড়ে আট হাজারের বেশি মহিলা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস বুরো (এনসিআরবি) ২০১৮-র রিপোর্ট বলছে, তাঁদের মৃত্যুর কারণই হল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার! গার্হস্থ্য হিংসার নথিভুক্ত হওয়া তথ্যও চমকে দেওয়ার মতো। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে (এনএফএইচএস) ২০১৪-১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে প্রতি তিন জন মহিলার এক জন গার্হস্থ্য হিংসার শিকার! কোভিড আবহে সেই হিংসাই ছড়িয়েছে মহামারির মতো। শুধু পরিসংখ্যান বৃদ্ধিই নয়, বেড়েছে অত্যাচারের মাত্রাও।