সংক্ষিপ্ত

  • নানা কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়
  • কিন্তু বিহারে এক অদ্ভূত কারণে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা হল
  • এই ক্ষেত্রে স্ত্রী কারণ দেখিয়েছেন স্বামীর নোংরা স্বভাব ও জীবনযাত্রার
  • মহিলা কমিশনে তিনি জানিয়েছেন তাঁর স্বামী দাঁত মাজেন না, স্নান করেন না

 

নানা কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। কখনও মনের মিল হয়না। কখনও স্বামী স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে। কখনও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। কিন্তু,  স্বামীর নোংরা অভ্যাসে ক্লান্ত হয়ে কোনও মহিলা বিচ্ছেদের আবেদন করছেন, এমন কথা সচরাচর শোনা যায় না। এমন অদ্ভূত অভিযোগই করেছেন বিহারের এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ তাঁর স্বামী দাঁত মাজেন না, স্নান করেন না। তাই তাঁর মুখ থেকে খারাপ গন্ধ বের হয়। বারবার বলেও অভ্যাস না পাল্টানোয় তিনি বিহার মহিলা কমিশন অফিসে গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করার আবেদন করেন।

মহিলার নাম সোনি দেবী। বিহারের বৈশালী জেলার দেশি এলাকার নয়াগ্রামে থাকেন তাঁরা। ২০১৭ সালে মনিশ রাম-এর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। সোনি মহিলা কমিশনে জানান, বিয়ের আগে মণীশের সঙ্গে তাঁর একবারও দেখা হয়নি। ছাদনাতলাতেই দুজনের প্রথম দেখা হয়। তবে যতদিন সোনির শ্বাশুড়ি বেঁচেছিলেন, ততদিন মনীশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকে স্বামীর আসল স্বভাব প্রকাশ পেতে শুরু করে।

সোনি দেবীর অভিযোগ, মা মারা যাওয়ার পর থেকেই মনীশ দাঁত মাজা প্রায় ছেড়েই দেন। স্নান করেন দশদিনে হয়তো একবার। এই নিয়ে তিনি মনীশকে প্রায়শই বলেছেন। অনেকবার ভালো ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, স্ত্রীর কোনও কথাই তিনি কানে নেননি। স্বামীর নোংরা অভ্যাস এবং জীবনযাত্রা দেখে ক্লান্ত হয়ে শেষে সোনি সরাসরি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন।
 
মহিলা কমিশন অবশ্য দম্পতিকে এখনই বিবাহ বিচ্ছেদের মতো চরম সিদ্ধান্ত না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সোনিকে তারা বলেছে অন্তত আরও দু'মাস একসঙ্গে থাকার জন্য। সেইসঙ্গে মনীশ-কেও নিয়মিত স্নান করা দাঁত মাজার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও মনীশ নিজের স্বভাব ও জীবনযাত্রা পাল্টাতে না পারলে তখন বিচ্ছেদের কথা সোনি ভাবতেই পারেন বলে জানিয়েছে তারা।