সংক্ষিপ্ত
বছর ৩০এর মহিলা দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী তাঁরে ১২ বছর ধরে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছিল। তিনি বলেছেন, শৌচকার্যের জন্য তিনি একটি বাক্স ব্যবহার করতেন
এক বা দুই বছর নয়, টানা ১২টা বছর একটি ঘরে মহিলাকে আটকে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহিলার স্বামী। কিন্তু এত অত্যাচার সহ্য করার পরেও মহিলা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করতে নারাজ। এই ভয়ঙ্কর গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকের মহীশূরে। বন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার হওয়ার পরে মহিলা তাঁর বাবা ও মায়ের সঙ্গে থাকবে স্থির করেছে আর পুলিশকেও জানিয়েছে।
বছর ৩০এর মহিলা দাবি করেছেন, তাঁর স্বামী তাঁরে ১২ বছর ধরে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছিল। তিনি বলেছেন, শৌচকার্যের জন্য তিনি একটি বাক্স ব্যবহার করতেন। মহিলা আরও জানিয়েছেন, তিনি দুই সন্তানের মা। তাঁর সন্তানরা স্কুলে পড়াশুনা করে। নিয়মিত স্কুলে যায়। কিন্তু সন্তানরা স্কুল থেকে ফিরে এসে বাইরে অপেক্ষা করত। স্বামী ফেরার পরই তারা ঘরে ঢুকতে পারত।
মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর বিয়ে ১২ বছর হয়ে গেছে। বিয়ের পর থেকেই তাঁকে গৃহবন্দি করে নির্যাতন করত স্বামী। একটি ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘরের ভিতর থেকেই তিনি তাঁর ছেলে মেয়েদের খাবার দিতেন। তিনি আরও বলেছেন, তাঁর ঘরে ঢোকার অধিকার সন্তানদেরও ছিল না। তিনি আরও বলেছেন, বাইরের কারও সঙ্গেই তিনি কথা বলতে পারতেন না।
যদিও মহীশূরের এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, মহিলা গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ বন্দি অবস্থায় ছিলেন। নিজের বাড়িতেই বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও বলেছেন, 'মহিলার চলাফেরা সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল তাঁর স্বামী। অতীতে তাঁর বাবার বাড়িতেও যাওয়ার অধিকার ছিল না। স্বামী তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যেত। স্বামী তাঁকে বাড়ির ভিতরে লক করে রেখে যেত।' পুলিশের অনুমান স্বামী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। স্বামীর কাউন্সেলিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর এই মহিলা অভিযুক্তের তৃতীয় স্ত্রী। মহিলাকে বন্দি অবস্থায় উদ্ধারের পর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে বলেছিল পুলিশ। কিন্তু মহিলা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তিনি অভিযোগ করতে পারবেন না। তিনি আরও বলেছেন বাবা ও মায়ের সঙ্গেই সন্তানদের নিয়ে থাকবেন। তাঁদের বৈবাহিক সমস্যাগুলির সমাধান করবেন।