সংক্ষিপ্ত
হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম জড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্ক থেকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না অভিযুক্তদের- তেমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
হায়দরাবাদে কিশোরী গণধর্ষণকাণ্ডে রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে দেশে। এই ঘটনায় তেলাঙ্গনার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির সন্তানের নাম জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ। দেখা গেছে নির্যাতিতা তরুণী ক্লাব থেকে বেশ কয়েকজন কিশোরের সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে এটি সাদা বিলাসবহুল গাড়ি। পুলিশ সূত্রের খবর এই গাড়িতেই কিশোরীকে একের পর এক ধর্ষণ করেছে পাঁচ জন কিশোর। একজন যখন ধর্ষণ করেছে অন্যরা গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে পাহারা দিচ্ছিল।
হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম জড়িয়ে পড়তে পারে, এই আশঙ্ক থেকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না অভিযুক্তদের- তেমনই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে নির্যাতিতা যেমন নাবালিকা তেমনই ধর্ষকরাই নাবালক। অভিযুক্তরা একদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। নির্যাতিতার বয়স মাত্র ১৭।
হায়দরাবাদের বিজেপি নেতা কৃষ্ণ সাগর বলেন এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ছেলেদের নাম জড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্তদের একজব মিম- অর্থাৎ ওয়েসির দলের বিধায়কের ছেলে। রাজ্যের শাসক দল অর্থাৎ টিআরএস দলের নেতার ছেলেরও নাম রয়েছে এই গণধর্ষণকাণ্ডে। ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের ছেলেও এই ঘটনায় যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মেয়েটি কয়েক জন কিশোরের সঙ্গে বিকেল ৫টা বা ৬টা নাগাদ রাস্তা দিয়ে হাটছে। তারা বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাও দেয়। মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে জড়িয়ে ধরেছে- এমন ফুটেজও হাতে এসেছে পুলিশের। তারপর বাকিরা চলে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি এক বন্ধুর সঙ্গে পার্টিতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে সে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়। তারপর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করে। পাব ছাড়ার পর এই কিশোর ও কিশারীরা একটি পেস্ট্রির দোকানেও গিয়েছিল। তারপর সন্ধ্যে জুবিলি হিলসের মত অভিজাত এলাকায় নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মেয়েটি প্রথম বাড়ি ফিরে কিছুই জানায়নি। কিন্তু ঘাড়ে রীতিমত আঘাত পেয়েছিল। তার বাবা ঘাড়ের আঘাত সম্পর্কে জানতে চাইলে কিশোরী নির্যাতন সম্পর্কে জানায়। বাবার অভিযোগেক ভিত্তিতেই প্রথম মামলা দায়ের হয়। পরে তা ধর্ষণের মামলায় রূপান্তরিত হয়।
পুলিশ জানিয়েছে পাবে নাবালকদের ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি কী করে দেওয়া হয়েছিল আর তাদের মদ বা মাদক জাতীয় দ্রব্য পরিবেশন করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে।পাবের ম্যানেজার জানিয়েছে এই পার্টিতে মদ পরিবেশন করা হয়নি। ইশান নামে একজন ১৫০ জনের জন্য পার্টির জায়গা বুক করেছিল। কিন্তু পার্টিতে প্রায় ১৮০ জন উপস্থিত ছিল। তবে পুলিশের মনে করছে পাবে না হলেও বাইরে ওই কিশোরের দলটি মদ্যপান করেছিল।