সংক্ষিপ্ত
মাত্র ১৩ মিনিটে ১৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে হাসপাতালে এসে পৌঁছল হৃদযন্ত্র।
এক মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ বাঁচাল মেট্রো রেল। যেন আক্ষরিক অর্থেই প্রমাণিত হল, শহরের লাইফ লাইন মেট্রো।
মাত্র ১৩ মিনিটে ১৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে হাসপাতালে এসে পৌঁছল হৃদযন্ত্র। আর যা নতুন জীবন এনে দিল আরও এক রোগীকে। মেট্রোতে গ্রিন করিডোরের এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে হায়দ্রাবাদে। সড়ক পথে গ্রিন করিডোরের চিরাচরিত রীতি ভেঙে দিয়ে এই উদাহরণ যেন নিশ্চিতভাবেই অভাবনীয় একটি পদক্ষেপ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ৯.৩০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হায়দ্রাবাদের এলবি নগরে খামিনেনি হাসপাতালে ব্রেন ডেথ হয়ে যাওয়া এক রোগীর হৃদপিণ্ড পাঠানোর কথা ছিল গ্লেনেগ্লেস গ্লোবাল হাসপাতালে। কিন্তু কম সময়ে নিরাপদে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে সড়কপথের বদলে কর্তৃপক্ষ বেছে নেয় মেট্রো রেলকে।
আর সেইমতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়ে গ্রিন করিডোর করা হয় হায়দ্রাবাদ মেট্রোতে। চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় হৃদপিণ্ড আনা হয় মেট্রোতে। আর তারপর মাটির নিচ থেকে সর্বোচ্চ গতিতে গন্তব্যের দিকে ছুটে যায় মেট্রো।
এমনিতে ‘এলবি নগর’থেকে ‘লাকডি-কা-পুল’পর্যন্ত দূরত্ব মোট ১৩ কিলোমিটার। মাঝে পড়ে ১৩টি স্টেশন। কিন্তু মাত্র ১৩ মিনিটেই সেই পথ অতিক্রম করে নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছে যায় হৃদপিণ্ড। এরপর গ্লেনেগ্লেস গ্লোবাল হাসপাতালে এই হৃদযন্ত্রের অপেক্ষায় থাকা রোগীর শরীরে তা প্রতিস্থাপন করা হয়।
চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রতিটি সেকেন্ড যেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে মেট্রোর এহেন ভূমিকা যে অভিনব, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নিখুঁত সময় মেপেই ওই হৃদপিণ্ড নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সড়কপথে এই দূরত্ব পেরোতে গেলে অনেক বেশি সময় লাগত বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।