- Home
- India News
- স্ত্রীকে খুন করে প্রেসার কুকারে ৫ ঘণ্টা সিদ্ধ করে হ্রদে ফেলে দিল, 'খুনি স্বামী'র কাজে তাজ্জব পুলিশ
স্ত্রীকে খুন করে প্রেসার কুকারে ৫ ঘণ্টা সিদ্ধ করে হ্রদে ফেলে দিল, 'খুনি স্বামী'র কাজে তাজ্জব পুলিশ
- FB
- TW
- Linkdin
নৃশং হত্যাকাণ্ড হায়দ্রাবাদে
নৃশংস হত্যাকাণ্ড হায়দরাবাদে। স্ত্রীকে খুন করে দেহের অংশ প্রেসারকুকারে সিদ্ধ করে নদীতে ফেলে দিল স্বামী। কিন্তু দেহের অংশ উদ্ধার না হওয়ায় গ্রেফতার করা যায়নি স্বামীকে।
স্বামীর স্বীকারোক্তি
অভিযুক্ত স্বামী নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। জানিয়েছে সে তার স্ত্রী মাধবীকে হত্যা করেছে।
হত্যার কারণ
স্ত্রীর বয়স ৩৫। স্ত্রী মাধবী স্বামীর সঙ্গে তর্ক করছিল। বচসা চরম আকার নেয়। সেই সময় স্ত্রীকে মারধর করে প্রাক্তন সেনা কর্মী স্বামী। দেওয়ালে চেপে ধরে স্ত্রীর দেহ। অনুমান তখনই মৃত্যু হয়েছে স্ত্রীর।
দেহ নিখোঁজ
একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে পুলিশ মৃতার প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ যাচাই করতে চাইছে। কিন্তু এখনও মৃতার দেহ উদ্ধার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দাবির ওপর ভিত্তি না করে তারা তথ্য প্রমাণ হাতে পেতে চান।
অভিযুক্তের পরিচয়
অভিযুক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের বসিন্দা। অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান। নাম গুরুমূর্তি।
স্বামীর দাবি
মৃতার স্বামী দাবি করেছে , সে তার স্ত্রীকে হত্য করেছে। দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছে। তারপর দেহের অংশ সিদ্ধ করেছে। তারপর সেগুলি শহরের উপকণ্ঠে জিল্লাগুড়ার একটি হ্রদে ফেলে দিয়েছে।
পুলিশের পদক্ষেপ
স্বামীর স্বীকারোক্তির পরেই হায়দরবাদ পুলিশ তদন্তে নেমে। গুরুমূর্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার করেনি। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
হ্রদে তল্লাশি
মৃত মাধবীর দেহের অংশ খুঁজতে হয়দরাবাদের হ্রদে তল্লশি চালায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশির পরেও দেহের অংশ উদ্ধার হয়নি।
পুলিশের দাবি
পুলিশ জানিয়েছে তদন্তে মাধবীর দেহের অংশ খুবই জরুরি। কারণ কী করে খুন করা হয়েছে, মৃতার সঙ্গে আর কী কী করা হয়েছে তা জানতে ফরেন্সিক রিপোর্টের প্রয়োজন।
উদ্ধার হয়েছে
যদিও তদন্তে নেমে পুলিশ একটি প্রেসার কুকার, ওয়াটার হিটার আর ছুরি উদ্ধার করেছে।
খুন কবে
পুলিশের জেরায় স্বামী স্বীকার করেছে গত ১৬ জানুয়ারি স্ত্রীকে খুন করেছিল। খুনের প্রমাণ লোপাটের জন্যই স্ত্রীর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে পাঁচ থেকে ৬ ঘণ্টা করে প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করেছে। তারপর হাড় আর মাথা একটি পেশাই করে। গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গেলে হ্রদে ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
খুনের খবর প্রকাশ্যে
১৬ জানুয়ারি মাধবীর মা মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি করে। সেই সময়ই পুলিশ স্বামী গুরুমূর্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কথা জানতে পারে।